বুধবার পেন্টগান জানায়, ২০০২ সালে বালিতে ভয়াবহ বোমা হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষ স্বীকার করার পর এবং সেই আক্রমণ ও অন্যান্য আক্রমণের অভিযুক্ত মূল হোতার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে সম্মত হওয়ায় গুয়ানতানামো বে কারাগারে আটক দুই মালয়েশীয় বন্দিকে তাদের নিজ দেশে হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসিকিউটররা বলেন, মোঃ ফারিক বিন আমীন ও মোঃ নাজির বিন লেব কয়েক বছর ধরে (হাম্বালি নামে পরিচিত) এনসেপ নুরজামানের সাথে কাজ করেছেন। তিনি আল-কায়েদার সাথে সংযুক্ত জিমাহ ইসলামিয়ার ইন্দোনেশীয় নেতা। অভিযুক্ত দুজন ২০০২ সালের ১২ অক্টোবর বালির দুটি নাইটস্পটে বোমা হামলায় ২০২ জন নিহত হওয়ার পর নুরজামানকে পালাতে সহায়তা করেছিলেন।
গত জানুয়ারিতে এই দুই ব্যক্তি ষড়যন্ত্র ও অন্যান্য অভিযোগে দোষ স্বীকার করেন। পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, কৌঁসুলিরা কথিত মূল পরিকল্পনাকারী নুরজামানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার পর তাদেরকে স্থানান্তর করা হয়।
নুরজামান গুয়ানতানামোতে হেফাজতে রয়েছেন এবং বালিতে বোমা হামলা ও অন্যান্য হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জানুয়ারিতে প্রাক বিচার শুনানি পুনরায় শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
মালয়েশিয়ার দু’জনকে মুক্তির পর গুয়ান্তানামো বে-র যুক্তরাষ্ট্রের নৌঘাঁটিতে ২৭ জন বন্দি আটক রয়েছেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের আল-কায়েদার হামলার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ একটি সামরিক ট্রাইব্যুনাল ও কারাগার গঠন করেন।
গুয়ান্তানামোতে ১৭ বছর থাকার পর মঙ্গলবার কেনিয়ার নাগরিক মোঃ আব্দুল মালিক বাজাবুকে কোন অভিযোগ ছাড়াই ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।
তার মুক্তির পর আরো ১৫ জন, যাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই আনা হয়নি, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে নিতে ইচ্ছুক উপযুক্ত এবং স্থিতিশীল দেশগুলোর সন্ধান করছে। এদের বেশিরভাগই যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এবং ইরানের মিত্র একটি জঙ্গি গোষ্ঠী দ্বারা প্রভাবিত দেশ ইয়েমেন থেকে এসেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তিনি যেন ক্ষমতা ছাড়ার আগেই যাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয়নি, তাদের আটক রদ করেন। যদি তা না হয় তবে “ যুক্তরাষ্ট্র সরকার কর্তৃক অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্দীদের আটকে রাখার ঘৃণ্য অনুশীলনের দায় তাকে বহন করতে হবে।”