শনিবার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেছেন, ইউক্রেনের কুরস্ক অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাতে রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন শুরু করেছে।
রাতের ভাষণে জেলেন্সকি বলেন, "রাশিয়া যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের ব্যবহার করা শুরু করেছে তার কাছে সেসবের প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে। তার তথ্য অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার সেনাদের সাথে সম্মিলিতভাবে রাশিয়ানরা আগস্ট থেকে কুরস্কে আক্রমণ চালাচ্ছে।"
উত্তর কোরিয়ানদের "ফ্রন্ট লাইনের অন্যান্য অংশে ব্যবহার করা হতে পারে, যার ক্ষয়ক্ষতি ইতিমধ্যেই লক্ষনীয়” বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত মাসে তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার ১১ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং এরই মধ্যে তারা “ক্ষয়ক্ষতির” সম্মুখীন হয়েছে।
এবছরের মাজামাঝি রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপরই ওয়াশিংটন ও সোওল অভিযোগ করেছে, মস্কোকে সাহায্য করতে ১০ হাজারেরও বেশি সেনা পাঠিয়েছে পিয়ংইয়ং ।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের পর থেকে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া তাদের সামরিক সম্পর্ক জোরদার করেছে।
কুরস্কের আক্রমনের সফলতার পর রাশিয়া এই অঞ্চলে শক্তিবৃদ্ধি করে চলেছে। যা কিনা এর আগে যুদ্ধে ইউক্রেন বাহিনীর গতি স্থবির করে দিয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর একটি সূত্র গত মাসে এএফপিকে জানিয়েছিল, কুরস্ক অঞ্চলের ৮০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা এখনো কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে, যা কিনা এখন প্রায় ১,৪০০ বর্গকিলোমিটার।