দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা স্বৈরাচারী শাসক বাসার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আঞ্চলিক দেশগুলোকে একত্রিত করতে বুধবার জর্ডান ও তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ব্লিংকেন আকাবা জর্ডান এবং তুরস্কের আংকারা সফর করবেন এবং সিরিয়া, ইসরাইল, গাজা, লেবানন ও পুরো অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন।
ব্লিংকেনের একজন মুখপাত্র বলেন, ব্লিংকেনের লক্ষ্য সিরিয়ার আসাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের মূলনীতিগুলো নিয়ে আঞ্চলিক নেতাদের সাথে ঐকমত্য নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, এর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘুদের অধিকারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা, মানবিক সহায়তা সহজীকরণ, সিরিয়াকে সন্ত্রাসবাদের স্বর্গরাজ্য বা প্রতিবেশীদের জন্য হুমকি হয়ে ওঠাকে প্রতিরোধ করা এবং রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্রের মজুদ নিরাপদে ধ্বংস করা।
ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার এমন একটি সরকারকে স্বীকৃতি দেবে যারা এসব নীতি মেনে চলে।
আঙ্কারায় ব্লিংকেন নেটো মিত্র তুরস্কের সাথে সন্ত্রাসবাদ দমন ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাসহ অভিন্ন অগ্রাধিকারের বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করতে তুরস্কের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবেন।
মঙ্গলবার ব্লিংকেন জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমির, কাতার ও মিশরের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি সিরিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অফ কেমিকাল উইপনস বা ওপিসিডব্লিউ সিরিয়ার পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি অধিবেশনে আহ্বান করতে যাচ্ছে। ১৯৯৭ সালের রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও পিসিডব্লিউ বলেছে, তারা রাসায়নিক অস্ত্রের স্থাপনাগুলোর ওপর ‘বিশেষ মনোযোগ’ দিয়ে সিরিয়ার ওপর নজর রাখছে এবং সব ধরনের নিষিদ্ধ অস্ত্র ঘোষণা ও ধ্বংস করার দায়িত্ব দেশটিকে তারা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য তারা অধিবেশনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবে।
গত রবিবার সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো দুই সপ্তাহের কম সময়ে দ্রুত অভিযানের পর আসাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে কয়েক দশকের পাশবিক নিপীড়নের অবসান ঘটায়।