অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রেসিডেন্ট ইউনের লড়াই


২০২৪ সালের ৭ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল কার্যালয় কর্তৃক তোলা এবং প্রকাশিত এই ছবিতে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সিউলে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে তার ভাষণ শেষ হওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে। ফাইল ছবি।
২০২৪ সালের ৭ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল কার্যালয় কর্তৃক তোলা এবং প্রকাশিত এই ছবিতে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সিউলে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে তার ভাষণ শেষ হওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে। ফাইল ছবি।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সোমবার দেশের সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্বে রয়েছেন, যদিও গত সপ্তাহে সামরিক আইন জারির চেষ্টার পরে বিচার মন্ত্রণালয় তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

আইনজ্ঞরা এটিকে উচ্চমাত্রার সাংবিধানিক সংকট বলে অভিহিত করেছেন। এই সংকট ঘটনাটিকে আরও জটিল করেছে। যদিও ইউনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে এবং তার নিজের দলের প্রধান বলেছেন, তিনি আর রাষ্ট্রীয় বিষয়ে জড়িত থাকবেন না; তবে রক্ষণশীল আইনপ্রণেতারা তার অভিশংসনের বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছেন এবং সোমবার দিনের শেষ পর্যন্ত ইউন ক্ষমতার মূল চাবিগুলো ধরে রেখেছেন বলে মনে হচ্ছে।

বিদ্রোহের সন্দেহে একজন প্রেসিডেন্ট কীভাবে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন- একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জবাব দেন, “আইনত কর্তৃত্ব বর্তমান কমান্ডার ইন চিফের কাছেই থাকবে।”

ইউন প্রেসিডেন্টের অন্যান্য দায়িত্ব পালনও অব্যাহত রেখেছেন, যেমন সিনিয়র কর্মকর্তাদের পদত্যাগ গ্রহণ এবং অন্যদের নিয়োগ প্রদান। তিনি ও তার রক্ষণশীল মিত্ররা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাতে তিনি কী দায়িত্ব পালন করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রবিবার পিপিপি প্রধান হান ডং-হুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু দলের সাথে পরামর্শ করে রাষ্ট্রীয় বিষয়াদি পরিচালনা করবেন। উভয়ের কেউই নির্বাচিত পদে নেই।

হানকুক ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউনিভার্সিটির সাংবিধানিক আইনের অধ্যাপক জিওন হাক-সিওন বলেন, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা অপসারণের একমাত্র প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া হলো অভিশংসন বা পদত্যাগ।

আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিউলভিত্তিক আরেকজন আইনের অধ্যাপক বলেন, ইয়ুন এবং তার দল সম্ভবত প্রেসিডেন্টের শূন্যতা এড়ানোর চেষ্টা করছেন। কারণ এমন পরিস্থিতিতে সংবিধান অনুসারে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

শনিবার এক ভাষণে ইউন সুক ইওল উদ্বেগ সৃষ্টির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং বলেছেন, ভবিষ্যতের শাসন “আমাদের দল এবং সরকার যৌথ্যভাবে পরিচালনা করবে।”

XS
SM
MD
LG