টাইম ম্যাগাজিন এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস 'আত্মবিশ্বাসী' যে, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও তিনি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে 'অভিন্ন ভিত্তি' খুঁজে পাবেন।
ইউনূস বলেছেন, "ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী, আমরা ব্যবসা করছি।"
তিনি বলেন, "আমাদের কিছু সংকট থেকে উত্তরণে আমরা সাহায্য করার জন্য বিনামূল্যে অর্থ চাইছি না, একজন ব্যবসায়িক অংশীদার চাই।"
টাইম ম্যাগাজিন আরও জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য উর্বর রয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। তবে এখনও সংস্কারের গতি ধীর হওয়ায় সন্দেহ কিছুটা বেড়েছে।
টাইম তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অস্পষ্ট আইনগত বৈধতার একটি দিক হলো যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন - যেমন সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সাথে ইউনূসের সাক্ষাত। যা আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি মূল বিষয়।
তবে, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে ফিরে আসা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
৩১ অক্টোবর ট্রাম্প এক্স পোস্টে, হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে 'বর্বরোচিত সহিংসতা'র নিন্দা জানান, "যারা বাংলাদেশে উত্তেজিত জনতার দ্বারা আক্রান্ত ও লুটপাটের শিকার হচ্ছে, যা এখনও পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে।"
টাইম তাদের প্রতিবেদনে এই উদ্বেগের কারণ হিসাবে ইউনূসের সঙ্গে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের পরাজয়ের পর প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "ট্রাম্পের বিজয় আমাদের এতটাই আঘাত করেছে যে আজ সকালে আমি কথা বলতে পারছি না। আমি সব শক্তি হারিয়ে ফেলেছি।"
তারপরও, ইউনূস টাইমকে বলেছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী, ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও তার সাথে অভিন্ন সাধারণ কিছু ভিত্তি তারা খুঁজে পাবেন।