পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কর্তৃপক্ষ বুধবার জানায়, জঙ্গিরা রাতভর একটি সামরিক ঘাঁটিতে বন্দুক ও আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১২ জন সেনা নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের জঙ্গি কবলিত বান্নু জেলায় এ প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী বন্দুকযুদ্ধে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী ছয়জন হামলাকারীকে হত্যা করে এবং তাদের চৌকিতে প্রবেশের প্রচেষ্টায় ‘কার্যকরভাবে’ বাধা দেয়, যার ফলে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরকবাহী একটি গাড়ি নিয়ে ওই স্থাপনায় প্রবেশ করে।
সামরিক বাহিনী জানায়, বিস্ফোরণের ফলে ‘ঘেরের প্রাচীরের একটি অংশ ধসে পড়েছে এবং সংলগ্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,’ যার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ওই এলাকায় পরিচ্ছন্ন অভিযান চালানো হচ্ছে এবং এই জঘন্য কাজের জন্য দায়ী অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।” তবে তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।
স্থানীয় নিরাপত্তা সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, অন্তত ছয়জন সৈন্য আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা ‘গুরুতর’।
সামরিক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘খোয়ারিজ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই শব্দটি সরকার তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-র সাথে যুক্ত জঙ্গিদের জন্য ব্যবহার করে। নিষিদ্ধ ঘোষিত গোষ্ঠীটি প্রায়ই আফগান সীমান্তে বা সীমান্তের নিকটবর্তী প্রাদেশিক জেলাগুলোতে সেনা ও পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করে আক্রমণ চালায়।
টিটিপির সাথে সংশ্লিষ্ট জঙ্গি সংগঠন হাফিজ গুল বাহাদুর মঙ্গলবার রাতে বান্নুতে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
পাকিস্তান বলছে, টিটিপি আফগানিস্তানের অভয়ারণ্য থেকে প্রাণঘাতী সহিংসতা চালাচ্ছে। টিটিপিকে জাতিসংঘ বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
ইসলামাবাদ বারবার কাবুলের ইসলামপন্থী তালিবান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে টিটিপি এবং অন্যান্য পাকিস্তানবিরোধী গোষ্ঠীগুলো সীমান্ত সন্ত্রাসের জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না পারে।
আফগানিস্তানের তালিবান কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, দেশটিতে কোনো বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি নেই।