অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেনে অ্যান্টিপার্সোনেল মাইন পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র


বাগরাম বিমান ঘাঁটির একটি মাইনফিল্ডের পাশে সতর্কতা জারি করা একটি আন্তর্জাতিক সাইনবোর্ড ঝুলছে। ২২ মার্চ, ২০০২। ফাইল ছবি।  
বাগরাম বিমান ঘাঁটির একটি মাইনফিল্ডের পাশে সতর্কতা জারি করা একটি আন্তর্জাতিক সাইনবোর্ড ঝুলছে। ২২ মার্চ, ২০০২। ফাইল ছবি।  

বুধবার রাশিয়া ও ইউক্রেন ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শীঘ্রই ইউক্রেনীয় বাহিনীর ব্যবহারের জন্য অ্যান্টিপার্সোনেল মাইন সরবরাহ করবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা প্রায় ৫০টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। নভগোরাদ, কুরস্ক, ওরিওল, বেলগোরোদ, তুলা, তভার, ব্রায়ানস্ক, মস্কো এবং স্মোলেনস্ক অঞ্চলে অভিযান চালানো হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানায়,রাশিয়া ১২২টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে এবং ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৫৬টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের চেরকাসি, চেরনিহিভ, নিপ্রোপেত্রোভস্ক, ডনেটস্ক, খারকিভ, খমেলনিটস্কি, কিরোভোহরাদ, কিয়েব, মাইকোলাইভ, পোলতাভা, সুমি, জাপোরিঝিয়া এবং জাইটোমির অঞ্চল লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

মঙ্গলবার গভীর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি চেয়েছিল যে, তারা কীভাবে অ্যান্টিপার্সোনেল মাইনগুলো ব্যবহার করবে; তাদের প্রত্যাশা, মাইনগুলো কেবল ইউক্রেনীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে যেখানে ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকরা বাস করছে না।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এক হাজার দিনে পৌঁছানোর সাথে সাথে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তন করেছেন এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন বলে খবর প্রকাশের দুদিন পরে উভয় পক্ষই এই হামলার কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক করে।

বাইডেন দুই মাসের মধ্যে ক্ষমতা ছাড়বেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কী অবস্থান নিতে পারেন তা স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য অব্যাহত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সমর্থন সম্পর্কে সংশয়বাদী ছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, এমনকি ক্ষমতা গ্রহণের আগেই তিনি যুদ্ধ শেষ করবেন। তবে ট্রাম্প কীভাবে তা করবেন সে বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করেননি।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলেছে, নিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় মাটির নমুনায় নিষিদ্ধ সিএস দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ গ্যাস পাওয়া গেছে। এই গ্যাস টিয়ার গ্যাস হিসেবেও পরিচিত।

রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থার প্রতিবেদনের বিষয়ে রাশিয়া কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সংস্থাটি রাসায়নিকের জন্য কাউকে দায়ী করেনি।

XS
SM
MD
LG