গাজায় ফিলিস্তিনিদের মানবিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে,এমন হুশিয়ারি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যরা জরুরি ভিত্তিতে সেখানে ত্রাণের প্রবাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি গাজায় ত্রাণের প্রবাহ “বিশাল আকারে বাড়ানোর” আহ্বান জানান। ওই অঞ্চলে বাস্তুচ্যুতির ফলে ২৩ লাখ বাসিন্দার বেশিরভাগই মানবিক সংকটে ভুগছেন এবং ক্রমশ পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে যুক্তরাজ্যে জাতিসংঘের সদর দপ্তর জানায়, “এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ৪০০ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া কঠিন করে তুলছে এমন ইসরায়েলি বিধিনিষেধের পক্ষে কোনো অজুহাত নেই। হামাসের এখনো জিম্মিদের আটকে রাখার কোনো অজুহাত নেই। অবশ্যই এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে—যাতে দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথ উন্মুক্ত হয়।”
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন তারা ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে ইসরায়েলের নেওয়া পদক্ষেপগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং “প্রতিদিনই” ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড সোমবার বলেন, “একদিকে আমরা যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিচ্ছি, আর একইসঙ্গে ইসরায়েলকে জরুরি ভিত্তিতে গাজার বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে বাড়তি পদক্ষেপও নিতে বলছি।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং তাদের ২৫০ ব্যক্তি জিম্মি হওয়ার পর গাজার যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের হাতে এখনো ১০০ জন জিম্মি রয়েছে। ধারণা করা হয় তাদের এক তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যে নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় প্রায় ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।