অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বৈরুতে আলোচনার পর লেবাননকে ইরানের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি


২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির ঘোবেইরি এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার স্থানে দমকলকর্মীরা আগুন নেভাচ্ছেন।
২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির ঘোবেইরি এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার স্থানে দমকলকর্মীরা আগুন নেভাচ্ছেন।

শুক্রবার ইরানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল ও লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যরা কাজ করার সময় তেহরান ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে’ লেবাননের পাশে থাকবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার জ্যেষ্ট উপদেষ্টা আলী লারিজানি শুক্রবার বৈরুত সফর করেন এবং লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইরান লেবাননের জনগণ ও এর কর্মকর্তাদের সমর্থন দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ইরান কোনোকিছুকে ব্যাহত করতে চায় না, বরং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তিনি হিজবুল্লাহকে একটি “জ্ঞানী আন্দোলন” এবং লেবাননকে একটি জ্ঞানী জাতি হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেন, “তবে তারা নিজেরাই জানে যে তাদের কী পদক্ষেপ নিতে হবে।”

এই ধরনের আলোচনা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের রাজধানীতে ইভাকুয়েশন আদেশ জারি করার পরে ইসরায়েল লেবাননে তার বিমান বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে, শুক্রবার বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির ভবনগুলোতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হচ্ছে এবং ভবনগুলো ধসে পড়ছে। দাহিয়েহ ও তাইয়ুনেহ এলাকাসহ অন্যান্য এলাকায় বড় ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে।

নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স থেকে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ বলেছে, বৈরুতের দাহিয়েহ সেকশনে “বেসামরিক জনগণের মধ্যে লুকিয়ে থাকা” হিজবুল্লাহদের ধ্বংস করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের নির্দেশে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো শুক্রবার দুই দফা হামলা চালিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে হিজবুল্লাহর যুদ্ধাস্ত্রের গুদাম, সদর দপ্তর ও অন্যান্য সন্ত্রাসী অবকাঠামো।

বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত লড়াইয়ে লেবাননের ৮৫০ কোটি ডলারের সরাসরি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননের আবাসন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১ লাখ আবাসন ইউনিট আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, যার পরিমাণ ২৮০ কোটি ডলার।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG