অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

 
রিপাবলিকানদের দখলে প্রতিনিধি পরিষদের ২১৮ আসন, সরকারের নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের দল

রিপাবলিকানদের দখলে প্রতিনিধি পরিষদের ২১৮ আসন, সরকারের নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের দল


ইউএস ক্যাপিটল। ফটোঃ ৪ নভেম্বর, ২০২৪।
ইউএস ক্যাপিটল। ফটোঃ ৪ নভেম্বর, ২০২৪।

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত আসন লাভ করেছে রিপাবলিকানরা। নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পাশাপাশি এই দল একতরফা ক্ষমতা দখল করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারে নিজেদের নিয়ন্ত্রণকে নিশ্চিত করতে পেরেছে।

অ্যারিজোনা ও বুধবার সকালে ক্যালিফর্নিয়াতে হাউস রিপাবলিকানের বিজয় লাভের ফলে হাউসের ২১৮টি আসন জিওপির দখলে; তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। রিপাবলিকানরা এর আগে ডেমোক্র্যাটদের থেকে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়েছে।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে রিপাবলিকান নেতারা ফেডারেল সরকারে এসে দেশের জন্য ট্রাম্পের মতাদর্শ দ্রুত প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন।

প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; এর মধ্যে রয়েছে সে দেশের সর্বকালের সবচেয়ে বৃহৎ প্রত্যাবাসন অভিযান চালানো, করে ছাড় বাড়ানো, ট্রাম্পের রাজনৈতিক শত্রুদের শাস্তি দেওয়া, ফেডারেল সরকারের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠনগুলির নিয়ন্ত্রণ কুক্ষীগত করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজানো। জিওপি নির্বাচনে জয়ের ফলে এই কর্মসূচিগুলির পাশে থাকবে কংগ্রেস এবং ডেমোক্র্যাটরা প্রায় ক্ষমতাহীন হয়ে পড়বে ও এই পদক্ষেপগুলি প্রতিরোধ করতে পারবে না।

২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন, রিপাবলিকানরা কংগ্রেস পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন, তবে তিনি তখনও সেই সব রিপাবলিকান নেতাদের মোকাবেলা করেছেন যারা তার নীতি সংক্রান্ত ভাবনার বিরোধী ছিলেন। তবে, এইবার চিত্রটা ভিন্ন।

হোয়াইট হাউসে ফিরে এসে ট্রাম্প এমন একটি রিপাবলিকান দলের সঙ্গে কাজ করবেন যে দল তার “মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন” আন্দোলনে পুরোপুরিই বদলে হয়ে গেছে। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীল বিচারপতিদের আধিপত্য রয়েছে, তবে এই বিচারপতিদের তিনজনকে তিনি নিয়োগ করেছিলেন।

বুধবার সকালে ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলের এক হোটেলে হাউস রিপাবলিকানদের সমাবেশ করেছেন। নির্বাচনের পর ওয়াশিংটনে তার প্রথম প্রত্যাবর্তনকে উদযাপন করতে এই আয়োজন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে জনসন বলেছেন, “হাউস ও সিনেটে রিপাবলিকানদের কাছে ম্যান্ডেট রয়েছে। আমেরিকান জনগণ চাইছেন আমরা যেন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ কর্মসূচি প্রয়োগ ও বাস্তবায়িত করি।”

হাউসে ট্রাম্পের মিত্ররা ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে দফতরে না থাকাকালে ট্রাম্পকে যে সকল আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে তার প্রতিশোধ নেবেন তারা। আসন্ন প্রেসিডেন্ট বুধবার বলেছেন, তিনি প্রতিনিধি ম্যাট গেটজকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মনোনীত করবেন। ম্যাট ট্রাম্পের অত্যন্ত অনুগত হিসেবে পরিচিত।

XS
SM
MD
LG