বাংলাদেশে ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী মতের সবার জন্য "মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন পরিচালনার স্বাধীনতা" সমুন্নত ও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “দেশের সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সব বাংলাদেশির জন্য এই স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা ও সুরক্ষা করা জরুরি।”
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, তারা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ তাদের সকল অংশীদারদের এই সমর্থনের কথা জানান।
প্যাটেল বলেন, তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত ও বিরোধী মতসহ সবার জন্য সংগঠনকে সমর্থন করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের দৃষ্টিতে এই স্বাধীনতাগুলো যেকোনো গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে প্যাটেল বলেন, তিনি ওই প্রতিবেদন দেখেননি।
“যদি এটি সত্য হয় তবে অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক হবে,” উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি তাদের "দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি" যে বাংলাদেশের পরিস্থিতিসহ যেকোনো পরিস্থিতি তুলে ধরতে একটি ‘নিয়োজিত মুক্ত গণমাধ্যম’ গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ।
প্যাটেল বলেন, “আমরা উৎসাহিত এবং নিশ্চিত করতে চাই যে, সাংবাদিকদের অধিকার এবং স্বাধীনতাকে যথাযথভাবে সম্মান করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য. ১০ নভেম্বর (রবিবার) শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে নেতা-কর্মীদের জড়ো হয়ে মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছিল। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রবিবার নূর হোসেন চত্বর ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পাল্টা বিক্ষোভ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে সম্প্রতি তিন দফায় মোট ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে সরকারের তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি)। এ তালিকায় অনেক পেশাদার ও সক্রিয় সাংবাদিক এবং সম্পাদকের নামও রয়েছে।