যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মঙ্গলবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যাচ্ছেন। ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদের শেষ দিনগুলোতে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির উপায় খুঁজছে।
ব্রাসেলসের পর ব্লিংকেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ইকোনোমিক কো-অপারেশন বৈঠকের জন্য পেরুর লিমায় যাবেন। এরপর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য মানাউস ও ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে যাত্রাবিরতি করবেন। তিনি পেরু ও ব্রাজিলে বাইডেনের সাথে যোগ দেবেন।
বুধবার ব্লিংকেন ইউক্রেনের জন্য অব্যাহত সমর্থন পেতে নেটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে আলোচনায় অংশ নেবেন এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। কর্মকর্তারা জানান, বাইডেন ট্রাম্পকে ইউক্রেন থেকে ‘সরে না যেতে’ বলবেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রত্যক্ষ সমর্থন ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে ব্লিংকেনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা এবং এপেকের কর্মকর্তার মধ্যে আলোচ্যসূচিতে এটি স্থান পাবে।
কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশন্সের সিনিয়র ফেলো চার্লস কুপচান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, ট্রাম্প হয়তো ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করতে পারেন। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় এ সম্পর্কে একটি বিশেষ পররাষ্ট্রনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের রাজনৈতিক মিত্ররা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আসন্ন প্রশাসন ক্রাইমিয়া এবং রাশিয়ার দখলে থাকা অন্যান্য অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম করার চেয়ে ইউক্রেনে শান্তি অর্জনকে অগ্রাধিকার দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ব্লিংকেন ইউরোপের দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলেছেন। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারট, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলানেলা বেয়ারবক এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারট, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। কর্মকর্তারা বলছেন, আলোচনায় ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের রাশিয়ার সিদ্ধান্তের প্রভাব ও হুমকি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।