ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ইসরায়েলি বাহিনী এলাকা ছেড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টারও কম সময় পর বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের শহরতলীতে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
যুদ্ধের মাঝেই আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন মতে, মঙ্গলবারের মধ্যে গাজা ভূখণ্ডে আরও ত্রাণ প্রবেশ করানোর শর্ত দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, কিন্তু দেশটি এই সময়সীমা অনুযায়ী সে শর্ত পূরণ করেনি।
গত মাসে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে বলেছিল গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য উপকরণের প্রবাহ না বাড়ালে তাদের সামরিক সহায়তা কমানো হবে।
মঙ্গলবার আটটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঁধে দেওয়া ১৯ শর্তের মধ্যে ১৫টি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল এবং বাকি চারটি আংশিকভাবে পূরণ করেছে।
গাজা ও বৈরুতে বিমান হামলা
নাসের হাসপাতালের কর্মকর্তাদের মতে, সোমবার দিনের শেষের এক হামলায় খান ইউনিসের পশ্চিমে একটি ক্যাফেটেরিয়ায় অন্তত ১১ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে গাজার মধ্যাঞ্চলের শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে হামলা হলে তিন জন নিহত হন। এই তথ্য জানিয়েছে আল-আওদা হাসপাতাল। এই হাসপাতালেই হতাহতদের নিয়ে আসা হয়।
মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীর বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিকভাবে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। এ সময় সেখানে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে হামলার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
সামরিক মুখপাত্র আভিচে আদ্রাই এক্সের এক পোস্টে জানান, “আপনারা হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুর কাছে অবস্থান করছেন। অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সেখানে অভিযান চালাবে”। পোস্টের সঙ্গে লেবাননের রাজধানীর একটি মানচিত্র যুক্ত করা হয় এবং এতে ঐ এলাকার যে ভবনগুলোতে হামলা করা হবে, তা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়।
এএফপির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক ঘণ্টারও কম সময় পর, দুই দফা হামলা শেষে ওই এলাকা থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানান, বিমান হামলার আগে থেকেই সেখানে গুলির শব্দ পাওয়া যায়—এগুলো ছিল এলাকাবাসীর ছোড়া হুশিয়ারিমূলক গুলি, যাতে মানুষ দ্রুত (আইডিএফের নির্দেশনা অনুযায়ী) এলাকা ছেড়ে যায়।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।