রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা করেই সংবিধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠনের পর এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনের অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল, সংবিধান সংশোধন বা পুনর্লিখন হবে কি না।
অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেছন, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, 'লিখিত প্রস্তাবনা নেওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন বা পুনর্লিখনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
সংবিধান সংবিধান সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জন, পুনর্বিন্যাস ও পুনর্লিখন কোনটা করা হবে, এই সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তাবনার অপেক্ষায় আছে ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন এই সংস্কার কমিশন।
সকল রাজনৈতিক দল ও অংশীদারদের থেকে লিখিত প্রস্তাব আশা করছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ।
আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক, আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র অনাবাসিক ফেলো ও আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস) প্রেসিডেন্ট।
এর আগে শনিবার ঢাকার মতিঝিলে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশন।
ড. কামাল হোসেন ছিলেন ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান।
২৩শে অক্টোবর ১৯৭২ সালের সংবিধানকে 'মুজিববাদী সংবিধান' আখ্যা দিয়ে সেই সংবিধান বাতিল করে 'জনগণের দাবির প্রতিফলন' ঘটিয়ে একটি নতুন সংবিধান দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে বলে দাবি জানানো হয়েছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে।