জার্মান নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা জামশিদ শারমাহদের মৃত্যুদণ্ড এ সপ্তাহের আগের দিকে কার্যকর করার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় জার্মানি ইরানের তিনটি কনস্যুলেট বন্ধ করে দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক ফ্রাঙ্কফুর্ট, মিউনিখ ও হামবুর্গে কনস্যুলেট বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “আমরা বারবার এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে তেহরানকে স্পষ্ট করে জানিয়েছি, একজন জার্মান নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলে তার গুরুতর পরিণতি হবে।”
বার্লিনে ইরানের দূতাবাস খোলা রাখার অনুমতি দেবে জার্মানি। বেয়ারবক বলেন, “জার্মানি আমাদের কূটনৈতিক চ্যানেল এবং তেহরানে আমাদের দূতাবাস খোলা রাখবে।”
তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের সর্বসাম্প্রতিক ঘটনাবলীর আলোকে সংঘটিত হওয়া এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে যে, (ইরানের) স্বৈরাচারী, অন্যায্য সরকার... স্বাভাবিক কূটনৈতিক যুক্তি অনুযায়ী কাজ করে না।আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক এরই মধ্যে সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে, যা অযৌক্তিক নয়।”
৬৯ বছর বয়সী শারমাহদের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে শিরাজের একটি মসজিদে ভয়াবহ বোমা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। তাকে “করাপশন অন আর্থ”-এর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর দ্বারা ইরানি কর্তৃপক্ষ ইসলামি নৈতিকতার সাথে সম্পর্কিত অপরাধসহ বিস্তৃত অপরাধকে বুঝিয়ে থাকে।
তবে তার পরিবার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভয়েস অফ আমেরিকার ফার্সি বিভাগকে দেয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে শারমাদের মেয়ে গাজালেহ শারমাহদ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সোমবার তার বাবার মৃত্যুদণ্ড ন্যায়বিচারের আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, “আমার বাবা ও ইরানের জনগণকে হত্যা করে এসব আন্দোলনের অবসান ঘটবে- এমনটা ভেবে তারা মস্ত বড় ভুল করেছে- হত্যা কেবল এই আন্দোলনগুলোকে আরও শক্তিশালী, আরও তীব্র এবং আরও শক্তিশালী করে তোলে।... ইসলামি প্রজাতন্ত্র বিরাট ভুল করেছে।”
ভয়েস অফ আমেরিকার ফার্সি বিভাগ এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।