জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুক্রবার টোকিওতে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক নতুন অংশীদারিত্বের ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল একে একটি ঐতিহাসিক ও “খুব সময়োপযোগী” পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বরেল ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি আইওয়া চুক্তিপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন। যৌথ সামরিক মহড়া, প্রতিরক্ষা শিল্প ও মহাকাশ নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদান ও অন্যান্য বিষয়ে সমন্বয় গড়ে তুলতে এই চুক্তি।
বরেল বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের মধ্যে এই নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাগত অংশীদারিত্বের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে মন্ত্রী আইওয়ার সঙ্গে এখানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি।”
বরেল সংবাদদাতাদের বলেন, “আমরা ভীষণ বিপজ্জনক বিশ্বে বসবাস করছি” এবং “আমাদের উভয়ের অঞ্চলের পরিস্থিতির নিরিখে এই রাজনৈতিক চুক্তি ক্রমশ তৈরি হওয়া হুমকিকে মিলিতভাবে সামলাতে আমাদের সক্ষমতাকে আরও গভীর করবে।”
তিনি চীনের কথা উল্লেখ করেননি, তবে জাপান আগে তাদের প্রতিবেশী দেশকে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তাগত চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করেছে কেননা বেইজিং এই অঞ্চলে তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।
টোকিওর বৈঠকের পর বরেল দক্ষিণ কোরিয়ায় রওনা হয়েছেন। সেখানে কর্মসূচির শীর্ষে থাকবে উত্তর কোরিয়া নিয়ে উদ্বেগ।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়ায় হাজার হাজার উত্তর কোরীয় সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং এই সৈন্যরা ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পিয়ংইয়ং তাদের নবতম ও সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রগুলির একটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক দিন আগে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ওয়াশিংটনের নিরাপত্তার জন্য তারা হুমকিস্বরূপ।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বলেছেন, “আজকের ইউক্রেন আগামীর পূর্ব এশিয়া হয়ে উঠতে পারে।”
সমষ্টিগত নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে গঠিত নেটোর মতো আঞ্চলিক জোট গড়ারও আহ্বান জানিয়েছেন ইশিবা, তবে তিনি স্বীকার করেছেন, এটা “রাতারাতি হবে না।”
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক অংশীদারিত্বের বয়ানে (এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেস তা দেখেছে) লেখা হয়েছে, তারা “দৃঢ় নৌ সমন্বয়” গড়ে তুলবে।
এই বয়ানে আরও বলা হয়েছে, ইইউ ও জাপান “প্রতিরক্ষা শিল্প-সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য লেনদেন-সহ নিজেদের প্রতিরক্ষাগত উদ্যোগের হালহকিকত” নিয়ে আলোচনা করবে।