আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বৃহস্পতিবার বলেছে গাজা, লেবানন ও সুদানে যে সংঘাত চলছে তা থেকে উদ্ধার পেতে কয়েক দশক লেগে যাবে। এর আগে আইএমএফ ও অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নামিয়ে আনে।
আইএমএফ বলেছে গাজা ভূখন্ডে হামাস এবং লেবাননে হেজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতা এবং সুদানের গৃহযুদ্ধ ওই অঞ্চলগুলিতে স্থায়ী প্রভাব ফেলবে।
এক বিবৃতিতে এই বৈশ্বিক ঋণ দানকারী সংস্থাটি বলেছে , “ এই সব সংঘাতের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা এই সব স্থানের কেন্দ্রবিন্দুতে কয়েক দশকের জন্য ক্ষত রেখে যাবে”।
আইএমএফ যুদ্ধ ও তেলের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার জন্য ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ২.১% তে নামিয়ে এনেছে, যা কীনা আগের তূলনায় ০.৬% কম।
সেপ্টেম্বর মাসে লেখা আইএমএফ ‘এর রিজিওনাল ইকনমিক আউটলুক অনুযায়ী আগামি বছর প্রবৃদ্ধি ৪.০% বৃদ্ধি পেতে পারে তবে সেটা নির্ভর করছে সংঘাতের উপর।
আইএমএফ’এর মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্যএশিয়া বিভাগের পরিচালক জিহাদ আজৌর দুবাইয়ে সংবাদদাতাদের বলেন, “সংঘাতে মানুষের মারাত্মক দূর্ভোগ এবং স্থায়ী অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণে এ বছরটি ছিল চ্যালেঞ্জর বছর। সম্প্রতি লেবাননে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে”।
এ মাসে লেবাননে ইসরায়েলের সংঘাত মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় আইএমএফ পূর্বাভাস স্থগিত করে । তবে আজৌর বলেন “ খুব কম করে হলেও” অনুমান করা হচ্ছে এ বছর প্রবৃদ্ধি ৯.০ থেকে ১০% কমে যাবে।
লেবাননের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, “ এর প্রভাব( লেবাননের উপর) হবে প্রচন্ড এবং কতদিন এই সংঘাত চলবে তার উপর এটা নির্ভর করে”।
আইএমএফ বলে,ওপেক+কার্টেলের মাধ্যমে মূল্য বাড়ানোর জন্য সৌদি নেতৃত্বে তেলের উৎপাদন কমিয়ে আনায়, “ অনেক অর্থনীতিতেই খুব কম প্রবৃদ্ধিই ঘটছে”।
এতে আরও বলা হয়, এই অঞ্চলের তেল রপ্তানিকারকদের, “ মধ্যবর্তী সময়ের প্রবৃদ্ধি মাঝারি পর্যায়ের হবে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে কারণ নানান ধরণের অর্থনীতির সংস্কারের ফলাফলে সময় লাগবে”।
আইএমএফ বলছে নিম্নমুখী ঝুঁকিই প্রাধান্য বিস্তার করবে যার মধ্যে রয়েছে পণ্যমূল্যের ওঠা-নামা, সংঘাত ও জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যা।