ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে মাঝে মধ্যে দমকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। উত্তাল বঙ্গোপসাগরের প্রচণ্ড ঢেউ সুন্দরবনের বাগেরহাট উপকূলে আছড়ে পড়ছে। নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে জোয়ারের পানি। তবে পানি আরও বাড়লে চিংড়ি ঘের ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় চাষিরা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বাগেরহাটের আকাশ কখনো মেঘাচ্ছন্ন আবার কখনো রৌদ্রজ্জল দেখা যাচ্ছে। ঝড়ের আতঙ্ক কেটে যাওয়ায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার খবরে তাদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা বিরাজ করছিল। বিশেষ করে নদী পাড়ের মানুষের আতঙ্কের শেষ ছিল না। অনেকের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় দানা বাংলাদেশ উপকূলে না আসায় স্বস্তি পেয়েছেন তারা।
জেলার মোংলা ও রামপাল এলাকার বেশ কয়েকজন চিংড়ি চাষি জানান, নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি বেড়েছে। পানি আরও বাড়লে চিংড়ি ঘের ভেসে যেতে পারে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলার চর জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, সুন্দরবনে মাঝে মধ্যে দমকা ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে আছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বেড়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাগেরহাটের বিভিন্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারে প্রায় দুই ফুট পানি বেড়েছে। তবে এখনো বিপৎ সীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানান তিনি।