হারিকেন হেলেনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারছে না। হারিকেন হেলেন বাড়িঘর, ক্যাম্পাস এবং পৌরসভার বিদ্যুৎ এবং পানির ব্যবস্থায় এতটাই মারাত্মক ক্ষতিসাধন করেছে যে কিছু কিছু জেলা আবার কবে এই ব্যবস্থাগুলো চালু করবে তার কোনো ধারণা নেই।
যদিও কোভিড-১৯ মহামারীতে স্কুল বন্ধের সময় ভার্চুয়াল লার্নিং সাহায্য করেছে, তবুও এই সংকটের সময় ভার্চুয়াল লার্নিংও বিকল্প হতে পারেনি কারণ সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ঝড়টির আঘাতের পর থেকে ইন্টারনেট এবং সেলফোন পরিষেবা ব্যাহত রয়েছে।
নর্থ ক্যারোলাইনার পশ্চিমে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কিছু জেলা সতর্ক করেছে যে শিক্ষার্থীরা এক মাস পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবে না, এবং অন্যরা বলছে যে তারা শ্রেণীকক্ষে ফিরে যাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারছে না।
পার্বত্য বাংকুম কাউন্টিতে হেলেনের কারণে বাড়িঘর ভেসে গেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, এবং প্রায় ৯৪,০০০ জনসংখ্যার শহর অ্যাশেভিলের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি ধ্বংস হয়েছে। ঝড়টি প্রত্যন্ত শহরগুলিকে ধ্বংস করেছে এবং অ্যাপালাচিয়ান জুড়ে কমপক্ষে ২৪৬ জন নিহত হয়েছে। ভেসে যাওয়া ব্রিজ এবং রাস্তার কারণে পরিচ্ছন্নতার প্রচেষ্টায় ব্যাপক জটিলতা দেখা দিয়েছে৷ এটি ২০০৫ সালে ক্যাটরিনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানা সবচেয়ে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়।
বাংকুম কাউন্টি স্কুল ব্যবস্থায় ২২,০০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণ করে। তারা মঙ্গলবার জেলাটির ফেসবুকে পরিবারদের জানায়, "স্কুল শুরু করার তারিখ বা কত দিন পর শুরু হবে সে বিষয়ে" কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কারণ ভবনগুলি মেরামত, ফোন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং বাস রুট পুনরায় সক্রিয় করতে হবে।
শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন যে স্কুল যদি পুনরায় খোলাও হয়ও, এই ব্যাঘাতগুলো ছাত্রদের শেখার পরিবেশ এবং মানসিক সুস্থতার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয় তাদের মধ্যে তীব্র অসুস্থতা এবং বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলো বেশি দেখা যায়। শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে ঝুঁকিতে রাখে: ক্লাসে অনুপস্থিতিতে তাদের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে, ঠিক তেমনি মানসিক আঘাত মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
হেলেন আঘাত হানার কয়েকদিন পর, হারিকেন মিলটন গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার একই উপকূলের আরও দক্ষিণে ক্যাটাগরি ৩ ঝড় হিসেবে আঘাত হানে। যদিও রাজ্যটির প্রায় অর্ধেক জেলাস্কুল বন্ধ ছিল, তাদের সকলেই এই সপ্তাহের শেষে আবার খোলার পরিকল্পনা করছিল।
হারিকেন হেলেন আঘাত হানার কয়েক সপ্তাহ পরও যুক্তরাষ্ট্রে এখনও অনেক স্কুল বন্ধ
