টোকিওর পুলিশ বলছে, শনিবার জাপানের ক্ষমতাসীন দলের সদরদপ্তরে এক ব্যক্তি বেশ কয়েকটি অগ্নি বোমা (মলোটভ ককটেল) ছুঁড়েছে, এবং তারপর গাড়ি চালিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বেড়ায় আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ এই ব্যক্তির পরিচয় জানতে পেরেছে। ঘটনাস্থলেই আতসুনোবু উসুদাকে (৪৯) দাপ্তরিক কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হতে পারে।
তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার উদ্দেশ্য জানা না গেলেও, জাপানের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও সামাজিক মাধ্যমে উসুদার করা পোস্ট থেকে জানা গেছে, তিনি জাপানে প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচের বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত আইন নিয়ে অভিযোগ করেন। যা থেকে ধারণা করা যায়,উসুদার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ছিল।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে আরও জানানো হয়েছে, অতীতে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন উসুদা। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে উসুদার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জাপানের জনমানুষের কাছে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। এর পেছনে মূল কারণ তহবিলের সন্দেহজনক উৎস ও সম্ভাব্য কর ফাঁকি দেওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারি। শনিবারের হামলা নিয়ে দলটি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করে এবং পুলিশকে প্রশ্ন করার অনুরোধ জানায়।
সংসদের নিম্নকক্ষের নির্বাচনের জন্য ২৭ অক্টোবর ভোট গ্রহণের কতঅ রয়েছে। নিজেদের সুনাম হারানো কোন কোন রাজনীতিক ক্ষমতাসীন দলের আনুষ্ঠানিক সমর্থন হারিয়েছেন তবে তারা নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে একচ্ছত্র ভাবে জাপান শাসন করেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের নেতারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য দলটি বহুল প্রশংসিত।