ইসরায়েলি সরকার বলছে, শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা অঙ্গীকার করেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবরের প্রাণঘাতি হামলার মূল পরিকল্পনাকারীর মৃত্যুর পরও হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
গাজায় একাধিক ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তারা এবং এপির এক সংবাদদাতা এই তথ্য জানান।
শনিবার সকালে ইসরায়েলে লেবানন থেকে আসা হামলার বিষয়ে নাগরিকদের সতর্ক করার জন্য সাইরেন বেজে ওঠে। ইসরায়েলি সরকার বলছে, এ সময় সিজারিয়া অঞ্চলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়ির দিকে একটি ড্রোন ধেয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ সময় তিনি বা তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না এবং এতে কেউ হতাহতও হয়নি।
সেপ্টেম্বরে নেতানিয়াহুর উড়োজাহাজ অবতরণের সময় বেন গুরিয়ন বিমান বন্দরের দিকে একটি ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। তবে লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রতিহত করা হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, নেতানিয়াহুর বাড়ির উদ্দেশে ড্রোন হামলার পাশাপাশি শনিবার সকালে দুইটি আলাদা হামলায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৫৫টি ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। সেনাবাহিনী বলছে, কিছু ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, শনিবার ইসরায়েলি আকাশ হামলা বৈরুতের উত্তরের মূল মহাসড়কে একটি গাড়িতে আঘাত হানলে দুই ব্যক্তি নিহত হন। হামলার সময় গাড়ির আরোহী কারা ছিলেন, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
অপরদিকে, গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এ সপ্তাহে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর পর উভয় পক্ষই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে অনীহা প্রকাশ করেছে। শুক্রবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, সিনওয়ারের মৃত্যু একটি বেদনাদায়ক ঘটনা। তবে তিনি উল্লেখ করেন, তার আগেও অনেক ফিলিস্তিনি জঙ্গি নেতা নিহত হয়েছেন, কিন্তু হামাস তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে।
খামেনি বলেন, “হামাস বেঁচে আছে এবং বেঁচে থাকবে।”
শনিবারেও গাজায় অব্যাহত ছিল ইসরায়েলি হামলা।
গাজার মধ্যাঞ্চলে জাওয়াইদা শহরের একটি বাড়িতে হামলার পর দুই শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত হন। অপর এক হামলায় মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে একই পরিবারের ১১ জন নিহত হন। উভয় ক্ষেত্রে নিহতদের দেইর আল বালাহ অঞ্চলের আল-আকসা মার্টায়ারস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর হাসপাতাল এই তথ্য প্রকাশ করে। এপির সংবাদদাতারা মরদেহে দেখেন এবং গণনা করেন।