মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তেহরানের উপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং পশ্চিমের এই অভিযোগ যে ইরান রাশিয়াকে তার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে তা অস্বীকার করতে, হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ইরান এয়ারসহ সাত ব্যক্তি ও সাতটি সংগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে ই.ইউ সম্মত হয় । ব্রিটেনও, যে কীনা ই.ইউর সদস্য নয় , নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয় কারণ এই দেশটি হচ্ছে ২৭ রাষ্ট্র বিশিষ্ট ই.ইউ’র পালাক্রমে বর্তমান সভাপতি।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ বলেছে, “ ই.ইউ’র সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও, এই বৈঠকে এই বিষয়টির উপরও জোর দেয়া হয় যে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মত অবৈধ ও চাপ সৃষ্টিকারী পদ্ধতি অগ্রহণযোগ্য এবং তা আমাদের কোথাও নিয়ে যাবে না।
সোমবার ব্রিটেন তার ইরান নিষেধাজ্ঞার আওতায় নয়টি নতুন পদে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার আগেই গতমাসে যুক্তরাষ্ট্র বলে যে ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পায়।
ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়টি অস্বীকার করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমায়েল বাঘায়েই এক্স’ এ বলেন: “ কোন রকম প্রমাণ ছাড়াই কিছু ইউরোপীয় দেশ এবং যুক্তরাজ্য দূর্ভাগ্যবশত দাবি করছে যে এই সংঘাতে ইরান সামরিক ভাবে হস্তক্ষেপ করছে যার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে”।
বাঘায়েই বলেন ইরানের ব্যক্তিবিশেষ এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।
ইরানের বেসামরিক বিমান সংস্থার একজন মুখপাত্র আইআরএনএ’কে বলেন জাতীয় বিমান, ইরান এয়ার ইউরোপে তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে দেবে যেহেতু তারা আর ফ্লাইট পারমিট পায়নি। ইরানের শ্রমিক বার্তা সংস্থাকে এসোসিয়েশান অফ ইরানিয়ান এয়ারলাইন্স ‘এর একজন কর্মকর্তা বলেন ইরানি বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে একমাত্র ইরান এয়ারই ইউরোপে সাম্প্রতিক সময়ে গেছে।
সর্বসাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরও রয়েছে সাহা এয়ারলাইন্স ও মাহান এয়ারলাইন্স এবং ইরানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেইদ হামজা ঘালানদারি।
তা ছাড়া ইসলামিক রিভোলিউশানারি গার্ড ‘এর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ইরান এয়ারক্র্যাফট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাসট্রিজ ও এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ অর্গানাইজেশানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরাও এই ই.ইউ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলির মধ্যে রয়েছে সম্পদ আটক করা এবং ই.ইউতে ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।