ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগে ইরানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী, আধাসামরিক বিপ্লবী গার্ডের জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং তিনটি এয়ারলাইন্সের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাইয়্যেদ হামজেহ ঘালান্দারি সেই সাতজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার একজন, যাদের ইউরোপ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইইউ বলেছে, তিনি “ইরানের (ড্রোন) ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি উন্নয়নের সাথে জড়িত আছেন।”
ইরান এয়ার, মাহান এয়ার ও সাহা এয়ারলাইন্সের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। ইইউ বলেছে, তাদের বিমানগুলো “ইরানের তৈরি মনুষ্যবিহীন আকাশযান এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করতে বারবার ব্যবহার করা হয়েছে, যা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনে ব্যবহৃত হয়েছে।”
লুক্সেমবার্গে এক বৈঠকে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেন।
গত মার্চে ইইউ সতর্ক করে বলেছিল, “ইরান যদি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়ার কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি হস্তান্তর করে, তাহলে ইইউ নতুন ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাসহ দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত থাকবে।”
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে হাঙ্গেরি বাদে ইইউ সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনকে প্রায় ১১৮ বিলিয়ন ইউরো (১২৯ বিলিয়ন ডলার) মূল্যের অস্ত্র ও গোলাবারুদের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সহায়তা সরবরাহ করে আসছে।