টি-টোয়েন্টিতে ১২৮ রানের লক্ষ্য যে একেবারেই মামুলি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি বাংলাদেশি বোলাররা কোনো প্রতিরোধ গড়তে না পারলে সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।
গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে রবিবার বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
শুরুতে ব্যাট করে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতেই ১২৭ রান করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
ভারত ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮.১ ওভার বা ৪৯ বল হাতে রেখেই তা টপকে যায়।
টি-টোয়েন্টিতে এটি ভারতের সর্বোচ্চ সংখ্যক বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটিই ছিল তাদের সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জয়ের ঘটনা।
ভারতীয় ব্যাটাররা ১২৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন। মাঝে তিনটি উইকেট পড়লেও ভারতের রানের ফোয়ারা কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা।
দলের হয়ে ১৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া সুরিয়া কুমার ইয়াদাভ ১৪ বলে ২৯ এবং ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ১৯ বলে ২৯ রান করেন ।
এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।
টাইগারদের নাকানি-চুবানি
ভারত তুলনামূলক অনভিজ্ঞ দল নিয়ে মাঠে নেমেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের নাকানি-চুবানি খাইয়েছে তাদের বোলাররা। অল্প রানেই টাইগারদের বেঁধে রাখতে সক্ষম হয় তারা।
টস জিতে ভারত অধিনায়ক সুরিয়া কুমার ইয়াদাভ বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। শুরুতে ব্যাট করে এক বল বাকি থাকতেই ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
দলের হয়ে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ২৭। এছাড়া বাকি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১২।
এদিন ব্যাট হাতে বলতে গেলে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারই বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি।
ইনিংসের প্রথম ওভারে আর্শদীপ সিংয়ের চতুর্থ বলে চার মেরে রানের খাতা খুলেই পরের বলে কভার অঞ্চলে রিংকু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস।
দলীয় তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে বোল্ড করে ফেরান আর্শদীপ।
এরপর তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক শান্ত। তবে ১২ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান হৃদয়ও।
মাহমুদুল্লাহও ব্যর্থ
পাঁচ নম্বরে মাহমুদুল্লাহ ক্রিজে আসার পর টাইগার সমর্থকরা লম্বা ইনিংসের আশা করলেও মাত্র ১ রান করে অভিষিক্ত মায়াঙ্ক ইয়াদাভের বলে আউট হন তিনি। ফলে ৪৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
এরপর দলীয় ৫৭ রানের মাথায় জাকের আলী আউট হলে মিরাজের সঙ্গে কিছুক্ষণ খেলে ৭৫ রানের মাথায় ফিরতে হয় শান্তকেও। অবশ্য ফেরার আগে তখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।
উইকেটের একপাশ আগলে রাখা মিরাজকে ১১ ও ১২ রান করে তুলে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে ফেরেন যথাক্রমে রিশাদ ও তাসকিন। এরপর শরীফুল শূন্য ও মোস্তাফিজ এক রান করে আউট হলে ১২৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। অন্যপ্রান্তে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
ভারতের হয়ে এদিন ছয়জন বোলিং করেছেন। তার মধ্যে নীতিশ রেড্ডি ছাড়া সবাই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ ও বরুণ।