যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এটি নিশ্চিত করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী শুক্রবার ইয়েমেনে হুথিদের এক ডজনের বেশি লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হেনেছে । তারা ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীদের অস্ত্র ব্যবস্থা , ঘাঁটি এবং অন্যান্য সাজ সরঞ্জামকে লক্ষ্যবস্তু করে এই অভিযান চালায়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন হুথির অন্তত ৫ টি শক্ত ঘাঁটিতে সামরিক বিমান এবং যুদ্ধজাহাজগুলি বোমা বর্ষণ করেছে।
হুথির মিডিয়া জানিয়েছে সেখানকার প্রধান বন্দর নগরী হোদেইদার বিমান বন্দরে এবং হুথি নিয়ন্ত্রিত সামরিক ঘাঁটি কাথেইব এলাকায় সাতবার বিমান আঘাত হানে। রাজধানী সানায় চার বার এবং ধামার প্রদেশে দু বার আঘাত হানা হয়। হুথির মিডিয়া দপ্তর আরও জানায় যে সানার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের বায়দা প্রদেশেও তিন বার বিমান হামলা চালানো হয়।
এই আক্রমণের মাত্র কয়েকদিন আগেই ইসরায়েলের “ক্রমবর্ধমান সামরিক তত্পরতার” বিরুদ্ধে হুমকি দেয় এবং ইয়েমেনরে উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনকে বাহ্যত গুলি করে ভূপতিত করে। আর এই মাত্র গত সপ্তাহে এই গোষ্ঠীটি আমেরিকার যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে আক্রমণের দায় স্বীকার করে।
বিদ্রোহীরা যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি জাহাজের উপর ৬ টির ও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও দু’টি ড্রোন নিক্ষেপ করে। বাব-এল মান্দেব প্রণালী দিয়ে জাহাজগুলি যাচ্ছিল তবে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন নৌ বিধ্বংসী দ্বারা এই সব অস্ত্র পরতিহত করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা এই বিস্তারিত তথ্য জানান যা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
গত অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে হুথিরা ৮০টিরও বেশি বানিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনকে লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট হয় বাধা দিয়েছে নইলে সেগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। আর এই সব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমের সামরিক জাহাজগুলি ।
ওই গোষ্ঠটি ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত জাহাজগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় যাতে গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ করা যায়। তবে আক্রান্ত বহু জাহাজেরই এই সংঘাতের সঙ্গে কোন সম্পর্কই ছিল না, কোন কোনটি আবার ইরানগামী ছিল।
কায়রোতে এপির লেখক স্যামি মাগদি এই প্রতিবেদনে তাঁর অবদান রেখেছেন।