কোপেনহেগেনে ইসরায়েলি দূতাবাসের আশেপাশে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই সুইডিশ কিশোরকে বৃহস্পতিবার প্রাক-বিচারে আটকে রাখা হয়েছে। প্রসিকিউটররা বলেন, তদন্তকারীরা ‘হামলার উদ্দেশ্য সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে কিনা’ তা খতিয়ে দেখছেন।
ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বিদেশী কূটনৈতিক মিশন অবস্থিত। বুধবার ভোরের বিস্ফোরণে কেউ আহত হয়নি। তবে বিস্ফোরণের পর নিকটবর্তী ইহুদি স্কুলটি বন্ধ ছিল।
আদালতের নির্দেশে ওই দুজনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। দুজনকে আদালত ২৭ দিন আটকে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখা ও পাঁচটি হ্যান্ড গ্রেনেড বহনের প্রাথমিক অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রসিকিউটর সোরেন হারবো বলেন, সন্দেহভাজনরা দূতাবাসের কাছে একটি বাড়িতে দুটি গ্রেনেড ছুঁড়ে মারলে তা বিস্ফোরিত হয়।
প্রাথমিক অভিযোগ পড়ার পর বৃহস্পতিবার রুদ্ধদ্বার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত কক্ষের ভেতর থেকে করা প্রতিবেদনে ড্যানিশ সম্প্রচারমাধ্যম ডিআর জানায়, ১৬ ও ১৯ বছর বয়সী ওই কিশোরদের ‘এক বা একাধিক অপরাধীর সাথে পূর্ব চুক্তিতে একত্রে’ কাজ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, দুজনই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার রাতে স্টকহোমে ইসরায়েলি দূতাবাস লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ড্যানিশ অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা পরিষেবা পিইটি বলেছে, “সুইডিশ কর্তৃপক্ষ মূল্যায়ন করেছে, স্টকহোমে ইসরায়েলি দূতাবাসকে লক্ষ্য করে পরিচালিত অন্তত একটি কার্যক্রম, যা সুইডেনের তরুণ অপরাধীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল, তার সাথে ইরানের সংযোগ রয়েছে।”
মে মাসে সুইডেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এসএপিও অভিযোগ করে, ইসরায়েলি বা ইহুদি জনগণকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে সুইডেনে প্রতিষ্ঠিত অপরাধী নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছে ইরান। কূটনৈতিক মিশনের প্রাঙ্গণে ‘বিপজ্জনক বস্তু’ পাওয়া যাওয়ার পর জানুয়ারির শেষের দিকে স্টকহোমে ইসরায়েলি দূতাবাস সিলগালা করে দেয়ার পর এ ঘোষণা এলো। সুইডিশ গণমাধ্যম জানায়, বিপজ্জনক বস্তুটি ছিল একটি হ্যান্ড গ্রেনেড।