ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়ে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন এবং যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, তার দেশ রাশিয়ার গত ৩১ মাস ধরে চলা আগ্রাসন অবসানে অন্য কোনো দেশের চাপিয়ে দেয়া চুক্তি কখনই মেনে নেবে না। তিনি মস্কোর সাথে আলোচনা করার ব্যাপারে চীন এবং ব্রাজিলের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বরং তিনি দুই বছর আগের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রাশিয়া-ইউক্রেন সীমানা প্রস্তাব মেনে নেবার আহবান জানান। মস্কো ২০১৪ সালে একতরফাভাবে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া দখল করে এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণ করে। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
নিউইয়র্কে বার্ষিক অধিবেশনে জেলেন্সকি ভাষণ দেয়ার একদিন আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে থেকে সহিংসতা বন্ধ করবেন না এবং “কেবল সন্ধি করতে বাধ্য হতে পারেন।”
একই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশটি ইউক্রেনের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করছে।
তিনি বলেন, “যদি দেশগুলো রাশিয়াকে সমর্থন করা বন্ধ করে দেয়, তাহলে পুতিনের আগ্রাসন শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে। আর যদি দেশগুলো ইউক্রেনকে সমর্থন করা বন্ধ করে দেয় তাহলে ইউক্রেন শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে।”
রাশিয়ার দূত ইউক্রেন নিয়ে ব্লিংকেনের আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া ইউক্রেন সম্পর্কে বলেছেন, “কোনো ধরনের হুমকি দেয়া হয়নি। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করছি না।” “আমরা একটি অপরাধমূলক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছি যারা কিয়েভের ক্ষমতা দখল করেছে এবং এর জনগণকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এবং আমাদের শত্রুদের দাবি যাই হোক না কেন, এটি ভূখণ্ডের জন্য যুদ্ধ নয়। এটি মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই।”
সাধারণ পরিষদের বুধবারের বৈঠকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আদ্দো, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট বাসিরু দিওমে ফায়ে, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলদা হেইন বক্তব্য রাখার কথা আছে।