ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, নেতৃত্বের পরিবর্তন যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর এক দশকের অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে অব্যাহত ইতিবাচক সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।
এশিয়া সোসাইটি এবং এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউট আয়োজিত 'ইন্ডিয়া, এশিয়া অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার দেওয়া বক্তব্যে জয়শঙ্কর আশ্বাস দেন প্রতিবেশীদের (বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা) প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ রয়েছে।
জয়শঙ্কর আরও উল্লেখ করেন, "গত এক দশকে আমরা যা করেছি তা হলো বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প করা, যা আমাদের উভয়ের পক্ষের জন্য ভাল হয়েছে। সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে এবং এ অঞ্চলের সরবরাহের উন্নত হয়েছে।"
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে ভারতের সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সে বলা হয়েছে, এ সময় তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিকে বৈঠকের পর জয়শঙ্কর এক্স-এ (টুইটার) লেখেন, "সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।"
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের বৈঠকের বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, “প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়াগুলোকে সক্রিয় করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
তিনি বলেন, "শিগগিরই অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।"
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য ভারতের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশনকে অন্যতম প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “এটা ছিল তাদের মধ্যে প্রথম বৈঠক।” এই বৈঠককে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা যায়। সেই টানাপোড়েনের মধ্যে এই প্রথম দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথম সরাসরি কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।