অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আনিসুল হক ও দীপু মনিসহ এক উপদেষ্টাকে আরও ২ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন আদালতে মঞ্জুর


সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল, সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল, সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রাজধানী ঢাকার বাড্ডা থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মন্ত্রী, এক উপদেষ্টা ও এক প্রতিমন্ত্রীকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

এ ছাড়া আরেক হত্যা মামলায় সাংবাদিক মোজাম্মেল হক বাবুকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

সাবেক দুই মন্ত্রী, এক উপদেষ্টা ও এক প্রতিমন্ত্রী হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল, সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে তিন মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে বাড্ডা থানা পুলিশ।

আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত তাদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এ সময় দীপু মনি ও মোজাম্মেল বাবুর জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দেয়।

এদিন অভিযুক্তদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোরশেদ হোসেন শাহীন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সিএমএম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান ও বিএনপিপন্থী আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন।

উল্লেখ্য, ১৩ অগাস্ট আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে রাজধানী ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ। পরে তাঁদের পৃথক ৪টি মামলায় ৩০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

১৯ অগাস্ট গ্রেফতার হন দীপু মনি। এরপর মোহাম্মদপুর ও ভাটারা থানার পৃথক দুটি মামলায় তাঁর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

১৪ অগাস্ট গ্রেফতার হন জুনায়েদ আহ্‌মেদ। পৃথক তিন মামলায় তাঁর ২০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

অন্যদিকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ১৬ সেপ্টেম্বর মোজাম্মেল বাবুকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ। পরে রমনা থানায় করা একটি হত্যা মামলায় তাঁর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন। ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেই সময়ই তাঁকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী করা হয়। এরপর থেকে সরকার পতনের আগ পর্যন্ত তিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।

সালমান এফ রহমান বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সালমান এফ রহমান ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হন। এরপর তাঁকে বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা নিয়োগ দেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সরকার পতনের আগ পর্যন্ত তিনি বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন।

দীপু মনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র ও শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন।

জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং নাটোরের একটি আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক ছিলেন সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, নেতা-কর্মী এবং সাংবাদিক ও সাহিত্যিকসহ শত শত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই খুনসংক্রান্ত। ব্যাপক হারে খুনের মামলা এবং তার ভিত্তিতে গ্রেফতার ও পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা নিয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিক মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম ১৬ সেপ্টেম্বর আশ্বাস দেন যে, প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হবে না।

XS
SM
MD
LG