জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার বিশ্বনেতাদের বলেন, বিশ্বের অবস্থা ভালো নয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের শুরুতে তিনি বলেন, “আমরা এভাবে চলতে পারি না।”
কিছু সরকার নিজেদের দায়মুক্ত মনে করে যা “রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং নৈতিকভাবে অসহনীয়।”
ইউক্রেন ও গাজার যুদ্ধ এবং হর্ন অফ আফ্রিকা ও এর বাইরেও সংঘাতের কথা উল্লেখ করে গুতেরেস আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদকে পদদলিত করে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য এর লঙ্ঘনকারীদের তিরস্কার করেন।
তিনি ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
গুতেরেস জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ এবং জাতিসংঘসহ পুরোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
প্রায় সপ্তাহব্যাপী এই বৈঠকের প্রথম দিনে নেতারা ইউক্রেন, গাজা এবং ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে সংঘাতের বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার বক্তব্য রাখেন যখন তার প্রশাসন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সমর্থন এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার উপায় খুঁজছে।
এছাড়াও পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদাও বক্তব্য রাখবেন। পোল্যান্ড তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনকে সহায়তার বিতরণ স্থান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
মঙ্গলবারের তফসিলে আরও রয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট তো লাম, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিচ এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা।
এ সপ্তাহে ১৯৪ জন বক্তার মধ্যে ৭৬ জন রাষ্ট্রপ্রধান ও ৪২ জন প্রধানমন্ত্রী, যাদের মধ্যে মাত্র ১৯ জন নারী। গুতেরেস পরিষদকে বলেন, লিঙ্গ সমতা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে কথা বলার পরেও এমন অবস্থা ‘অগ্রহণযোগ্য’।
বার্ষিক সভাগুলোতে সবসময় অসংখ্য নেতা, কূটনীতিক, কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম উপস্থিত থাকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও কড়া থাকে। ভবনের বাইরে নিউ ইয়র্ক পুলিশ জাতিসংঘের আশেপাশের অঞ্চলটি শক্তভাবে সুরক্ষিত করে এবং শহরের ট্র্যাফিককে ঐ কমপ্লেক্স থেকে দূরে রাখা হয়।