ঢাকার শহীদ মিনারে বৃহস্পতিবার 'সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের' অনুষ্ঠান বাতিল হবার পর সেখানে দূপুর থেকে মাদ্রাসার ছাত্রদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।
এই ছাত্রদের অধিকাংশই বারিধারায় অবস্থিত জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত 'শহীদি মার্চ'-এ যোগ দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আসে তাদের এই দলটি।
তবে 'শহীদি মার্চ'-এর মূল র্যালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ত্যাগ করলেও তারা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। এসময় তাদেরকে "নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর" স্লোগান দিতে শোনা যায়।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গণঅভুত্থানে নিহতদের স্মরণে ছাত্ররা এই মিছিলের আয়োজন করে।
ঢাকার একটি সাংস্কৃতিক দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভাষা শহীদ মিনারে বুধবার জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আয়োজনের ঘোষণা দেয়। তাদের ঘোষণায় অনুষ্ঠানটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪:৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়।
পরে, আয়োজকদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় দাবী করা হয় যে, "এই কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সদস্যরা... কর্মসূচীর মধ্যে ঢুকে নিজেদের পুনর্বাসনের পায়তারা করছে।"
এছাড়া, 'মিসকমিউনিকেশনের' কারণে অনেকের মধ্যে 'ভুল ধারণার' জন্ম হয়েছে বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয় এবং বলা হয় তাদের এই কর্মসূচী 'শহীদি মার্চ'-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।
এই কর্মসূচীর কারণে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এবং সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে এই আশংকায় তারা কর্মসূচী স্থগিত করেছেন বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ জামাতে ইসলামির প্রাক্তন আমির গোলাম আযমের পুত্র, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আজমি বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে অনলাইন জুমের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নতুনভাবে হওয়া উচিত।
তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আযমী আট বছর গুম হয়ে থাকার পর গত ৬ অগাস্ট 'আয়নাঘর' থেকে মুক্তি পান।
আযমীর বক্তব্যের প্রতিবাদে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) 'সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত' অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।