ঢাকায় আটককৃত বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক দুই প্রধান, একেএম শহিদুল হক এবং চৌধুরী আহদুল্লাহ আল-মামুনের ভিন্ন মেয়াদের পুলিশ রিমান্ড বুধবার মঞ্জুর করেছে ঢাকার এক আদালত।
পুলিশের দুই মহাপরিদর্শককে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম কোন ইন্সপেক্টর জেনেরাল অফ পুলিশ (আইজিপি) গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হলে শহিদুল হককে সাত দিনের এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আট দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। ঢাকার দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা জানিয়েছে, দুটি পৃথক হত্যা হামলায় “অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য” তদন্ত কর্মকর্তারা রিমান্ডের আবেদন করেন।
পত্রিকাটি জানায়, হককে ১৯ জুলাই ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। আর আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রিমান্ড দেয়া হয়েছে ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায়।
এই দুটি মামলাতেই প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম দেয়া হয়েছে।
গত ৫ অগাস্ট এক গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রাক্তন দুই আইজিপি’র বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা ইউএনবি।
শহিদুল হক ১৯৮৬ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আইজিপি পদে দায়িত্ব পালন করেন।
চৌধুরী আহদুল্লাহ আল-মামুন ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৩১তম আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান বলে জানাচ্ছে ইউএনবি। এর আগে তিনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং সিআইডি’র প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
গত ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর আল-মামুনকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়।