ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে এ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চ্যানেল পাড়ি নিয়ে ইংল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টাকালে অন্তত ১২ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। ফরাসি সরকার জানায়, বড় ধরনের উদ্ধার অভিযান চলছে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল ডারমানি জানান, এখনো দুজন অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছেন।
ফরাসি উপকূলের বুলন-সুর-মে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার (৩ মাইল) দূরে উইমেরু শহরে কয়েক ডজন যাত্রী নিয়ে তাদের নৌকাটি সমস্যায় পরে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ফরাসি সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ জানান, জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তা সরবরাহ করা হয়েছে।
তদন্তের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিহতদের মধ্যে তিনজন নাবালকও রয়েছে।
এটি এ বছরের সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয় যেখানে ইতোমধ্যে অভিবাসী ক্রসিং-এ ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ফরাসি ও ব্রিটিশ সরকার বছরের পর বছর ধরে অভিবাসীদের স্রোত বন্ধ করার চেষ্টা করছে, যারা ছোট নৌকায় করে ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ডে যাওয়ার জন্য পাচারকারীদের মাথাপিছু হাজার হাজার ইউরো প্রদান করে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার মঙ্গলবারের মৃত্যুকে “ভয়ংকর ও গভীর দুঃখজনক” বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি “মানুষের জীবনে এই ভয়ংকর এবং নির্দয় বাণিজ্যের পেছনে গ্যাংগুলোর” সমালোচনা করে বলেন, তারা “তাদের মুনাফা ছাড়া অন্য কিছুর পরোয়া করে না।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এই গ্রীষ্মের শুরুতে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি মোকাবিলায় “সহযোগিতা” জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু সোমবারই ৩৫১ জন অভিবাসী ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন। এ বছর ২১ হাজার ৬১৫ জন অভিবাসী এ যাত্রা করেছেন।
চ্যানেল পাড় হওয়া প্রায়শই বিপজ্জনক প্রমাণিত হয় এবং ২০২১ সালের নভেম্বরে ২৭ জন অভিবাসী মারা গিয়েছিলেন। তাদের নৌকাটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মারাত্মক একক দুর্যোগে ডুবে যায়।
ফরাসি কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের পানিতে নামতে বাধা দিতে চায়, কিন্তু তারা সমুদ্রপথে যাত্রা শুরু করার পর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে উদ্ধার ছাড়া হস্তক্ষেপ করে না।