মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গোলিয়া সফর করেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সৃষ্ট কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক পরোয়ানায় তাকে গ্রেপ্তারের আহ্বানের কাছে স্বাগতিক দেশ মাথা নত করবে এমন কোনো লক্ষণ নেই।
প্রায় ১৮ মাস আগে পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কোনো সদস্য দেশে এটিই পুতিনের প্রথম সফর। তার সফরের আগে ইউক্রেন পুতিনকে দি হেগের আদালতে সোপর্দ করার জন্য মঙ্গোলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যে, মঙ্গোলিয়া পরোয়ানা কার্যকর করবে না। পুতিনের এক মুখপাত্র গত সপ্তাহে বলেন, ক্রেমলিন উদ্বিগ্ন নয়।
এই পরোয়ানা মঙ্গোলিয়া সরকারকে কঠিন অবস্থায় ফেলেছে। আইসিসির প্রতিষ্ঠাতা চুক্তি রোম সংবিধি অনুযায়ী, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে সদস্য দেশগুলো সন্দেহভাজনদের আটক করতে বাধ্য। কিন্তু রাশিয়ার সীমান্তবর্তী স্থলবেষ্টিত দেশ মঙ্গোলিয়া জ্বালানি ও বিদ্যুতের জন্য তার বৃহত্তর প্রতিবেশির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। আদালতের পরোয়ানা কার্যকর করার ব্যবস্থারও সেখানে অভাব রয়েছে।
মঙ্গোল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ত্রয়োদশ শতকের শাসক চেঙ্গিস খানের ব্যক্তিগত রক্ষীদের পোশাকের আদলে লাল ও নীল রঙের ইউনিফর্ম পরিহিত অনার গার্ড রাজধানী উলানবাটোরে পুতিনকে স্বাগত জানায়।
তিনি এবং মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট খুরেলসুখ উখনা সরকারি প্রাসাদের লাল গালিচা বিছানো সিঁড়ি বেয়ে উঠে চেঙ্গিস খানের মূর্তির সামনে মাথা নত করে ভবনে প্রবেশ করেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আগে ইউক্রেনের পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করা বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট দলকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
পুতিন পাঁচ বছরের মধ্যে তার প্রথম মঙ্গোলিয়া সফরে উত্তর-পূর্ব চীনের মাঞ্চুরিয়া নিয়ন্ত্রণকারীরা জাপানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ও মঙ্গোলীয় যৌথ বিজয়ের ৮৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ১৯৩৯ সালে মাঞ্চুরিয়া ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্ত নিয়ে কয়েক মাসের লড়াইয়ে উভয় পক্ষের হাজার হাজার সেনা নিহত হয়।