মিয়ানমারের নৃশংস ও রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ছায়ায় চীন ও অবৈধ মাদক ব্যবসার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত একটি বিদ্রোহী বাহিনী বিনা যুদ্ধে দেশটিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
চলতি বছরের শুরু থেকেই মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে শক্তিশালী ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি তার শত শত সেনাকে দেশটির পূর্বাঞ্চলে চীন, লাওস ও থাইল্যান্ডের পাশে শান রাজ্যের কেন্দ্রীয় অংশে নতুন অবস্থানে মোতায়েন করছে।
ইউডব্লিউএসএ হলো প্রায় ৩০ হাজার সেনা নিয়ে মিয়ানমারের বৃহত্তম এবং সর্বোত্তম সজ্জিত বিদ্রোহী সেনাবাহিনী। শান রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের রুক্ষ পাহাড়ে অবস্থিত এলাকাটির আয়তনে বেলজিয়ামের চেয়েও বড়। এটি ওই অঞ্চলজুড়ে চীন ও থাই সীমান্তের দুটি ছিটমহল নিয়ন্ত্রণ করে এবং এই অঞ্চলকে জাতিগত সংখ্যালঘু ওয়া-র জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মতো পরিচালনা করে।
জেন’স ইন্টেলিজেন্স কোম্পানির নিরাপত্তা বিশ্লেষক অ্যান্থনি ডেভিস বলেন, অভ্যুত্থানের পর থেকে ইউডব্লিউএসএ আরেক মিত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টির ছদ্মবেশে ও সমর্থনে দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলীয় শানে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, নতুন খবর হলো এটি কত বড় এবং সাহসী হয়ে উঠেছে।
টাওয়ার বলেন, ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ইউডব্লিউএসএ-র সম্প্রসারণ পূর্ব মিয়ানমার, অভিন্ন মেকং নদী ব্যবস্থা এবং কুখ্যাত গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের ওপর চীনকে আরও প্রভাব ফেলতে সহায়তা করতে পারে। গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলে লাওস, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের অপরাধ-জর্জরিত সীমানা মিলিত হয়। তিনি বলেন, বিশেষ করে যদি ইউডব্লিউএস-এ থাই ও চীন সীমান্তে তার দুটি ছিটমহলকে সংযুক্ত করার দীর্ঘদিনের লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, তাহলে চীন লাভবান হতে পারে।
ডেভিস বলেন, যদি মিয়ানমার যথেষ্ট স্থিতিশীল হয় তাহলে ইউডব্লিউএসএ-র ক্রমবর্ধমান প্রসার চীনকে পরিকল্পিত জলবিদ্যুৎ বাঁধ প্রকল্পে এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারে। তিনি বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে এই সম্ভাবনা বাস্তবায়ন হতে পারে।