ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরুর পর শনিবার কিয়েভ তৃতীয়বারের মত তাদের স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে।
ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের গোলার হামলা-পাল্টা হামলায় দিনটি পার করে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
খেরসনের আঞ্চলিক কৌঁসুলি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের দক্ষিণে আংশিকভাবে অধিকৃত খেরসন অঞ্চলের রাজধানী খেরসন সিটিতে রুশ বাহিনী গোলাবর্ষণ করলে একজন নারী নিহত ও একজন পুরুষ আহত হন।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, তারা দেশটির দক্ষিণে সাতটি ড্রোন ধ্বংস করেছে। রাশিয়া তাদের দূরপাল্লার বোমারু বিমান থেকে জিমিনি (স্নেক) দ্বীপে চারটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। খেরসন অঞ্চলের অন্যান্য অংশেও আকাশ পথে বোমা হামলা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শনিবার তাদের আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাতভর হামলার মাঝে সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
প্রাদেশিক গভর্নর আলেকসান্দর গুসেভ জানিয়েছেন, ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থিত দক্ষিণ-পশ্চিমের ভোরোনেঝ অঞ্চলে পাঁচটি ড্রোন ভূপাতিত হলে দুই ব্যক্তি আহত হন।
সংবাদমাধ্যম অ্যাস্ট্রা প্রচারিত ভিডিওতে ড্রোন হামলার পর একটি গোলাবারুদের গুদাম বিস্ফোরিত হতে দেখা যায়। তবে স্বতন্ত্রভাবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
ইউক্রেন-রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অপর শহর বেলগোরোদেও ড্রোন হামলায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে প্রাদেশিক গভর্নর ভায়াচেসলাভ ভ্লাদকভ জানান। ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলে পঞ্চম ড্রোনটি ভূপাতিত হলেও সেখানকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কোনো হতাহতের তথ্য জানাননি।
কুরস্ক অঞ্চলে দুই সপ্তাহ আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত হামলা শুরু করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। কুরস্কের প্রাদেশিক গভর্নর আলেক্সেই স্মিরনভ শনিবার জানান, রাতভর হামলার মাঝে তিনটি ও শনিবার সকালে আরও চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে।
রুশ আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শনিবার সকালে আরও দুইটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী। কুরস্ক ও ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলে এই ড্রোনগুলো ধ্বংস করা হয়।