ইরানের মধ্যাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় পাকিস্তান থেকে আসা অন্তত ২৮ জন শিয়া যাত্রী নিহত হয়েছেন। এক কর্মকর্তা বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন। যাত্রীরা ইরাকে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তান থেকে রওনা হন।
মঙ্গলবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ ইয়াজদে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলি মালেকজাদেহ’র বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম ইরনা এই তথ্য জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই দুর্ঘটনায় আরও ২৩ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি জানান, বাসের সব যাত্রী পাকিস্তান থেকে এসেছেন।
ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৫০০ কিমি (৩১০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত তাফত শহরের বাইরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে ৫১ জন যাত্রী ছিলেন।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে পরবর্তীতে বাসটির কিছু ভিডিও এবং ছবি প্রচার করা হয়। সেখানে দেখা যায়, মহাসড়কের ওপর বাসটি উলটে আছে। এর ছাদ ধ্বংস হয়েছে এবং সবগুলো দরজা খুলে গেছে। উদ্ধারকর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে সড়কের ওপর ছড়িয়ে থাকা ভাঙা কাচ ও অন্যান্য উপকরণের মাঝ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
টিভি প্রতিবেদনে মালেকজাদেহ এই দুর্ঘটনার জন্য বাসের ব্রেক ফেল ও চালকের অমনোযোগকে দায়ী করেন।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমে এক স্থানীয় শিয়া নেতা কামার আব্বাসের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। তিনি জানান, এই বাসটি পাকিস্তানের দক্ষিণের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা শহর থেকে এসেছে।
সড়কে নিরাপত্তার দিক দিয়ে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ইরানের অবস্থান তলানির দিকে। প্রতি বছর দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হন। এই ভয়াবহ মৃত্যুর জন্য ট্রাফিক আইন মেনে না চলার প্রবণতা, অনিরাপদ যান ও সুবিশাল পল্লী অঞ্চলে জরুরি সেবার অপ্রতুলতাই মূলত দায়ী।
ইরাকে আরবাঈন নামের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বাসযাত্রীরা যাত্রা করেছিলেন।