অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানে তালিবান ‘সংস্কারের’ অংশ হিসেবে ২১ হাজার বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস


২০২৪ সালের ২০ আগস্ট কাবুলে তথাকথিত সদগুণের প্রচার ও পাপ প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করছেন। (তালিবান সরকারের গণমাধ্যম এবং তথ্য কেন্দ্র)
২০২৪ সালের ২০ আগস্ট কাবুলে তথাকথিত সদগুণের প্রচার ও পাপ প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করছেন। (তালিবান সরকারের গণমাধ্যম এবং তথ্য কেন্দ্র)

আফগানিস্তানের তালিবান নীতি পুলিশ মঙ্গলবার জানায়, তথাকথিত ইসলাম-বিরোধী কার্যক্রম ধ্বংসের অংশ হিসেবে তারা গত এক বছরে ২১ হাজারের বেশি বাদ্যযন্ত্র ‘জব্দ ও ধ্বংস’ করেছে।

তালিবান কর্তৃপক্ষ নিকটবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় পারওয়ান প্রদেশে শত শত বাদ্যযন্ত্র প্রকাশ্যে পুড়িয়ে দেয়ার একদিন পর কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তথাকথিত সদগুণের প্রচার ও পাপ প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাদের “বার্ষিক পারফরম্যান্স” নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রাদেশিক নীতি পুলিশ বিভাগ বাসিন্দাদের বিয়ে এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের রাজধানীতে এক বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তালিবান প্রশাসনের ‘সমাজ সংস্কারের’ অংশ হিসেবে দেশব্যাপী হাজার হাজার ‘অনৈতিক চলচ্চিত্র’ ধ্বংস এবং অনেক ছবি ব্যক্তিগত কম্পিউটারে দেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবি করেছেন। তারা চলচ্চিত্রগুলোর প্রকৃতি সম্পর্কে বিশদ কিছু জানায়নি।

সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা না করে মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা আফগানিস্তানে “অডিও, ভিজ্যুয়াল এবং প্রিন্ট মিডিয়া জুড়ে ৯০ শতাংশ সংস্কার সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে।”

ফ্রি মিডিয়া অ্যাডভোকেসি গ্রুপ এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, তালিবান নেতারা দেশটিতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং তথ্যে প্রবেশাধিকার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছেন।

প্রায় দুই দশক ধরে যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সেনাদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর তিন বছর আগে যুদ্ধবিধ্বস্ত, দরিদ্র দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির নিয়ন্ত্রণ পুনর্দখলের পর ইসলামপন্থী তালিবান জনগণের নীতি মন্ত্রণালয়কে পুনরুজ্জীবিত করে।

জাতীয় রেডিও ও টেলিভিশনে নারীদের কাজ করা নিষিদ্ধ এবং নারী অভিনয় শিল্পীদের নাটকে অভিনয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডি ফ্যাক্টো আফগান কর্তৃপক্ষ বৃহত্তর কর্মক্ষেত্রে কঠোর “লিঙ্গ-ভিত্তিক পৃথকীকরণ” প্রয়োগ করেছে।

আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ) গত মাসে বলে, তালিবানের নীতি পুলিশ জনগণের মধ্যে “ভয় ও ভীতির পরিবেশ” তৈরি করছে এবং ঐ মন্ত্রণালয়কে তালিবান সরকারে মানবাধিকার লঙ্ঘনে শীর্ষস্থানীয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তালিবান সরকার কোনো দেশ দ্বারা স্বীকৃত নয়।

XS
SM
MD
LG