অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একই পরিবারের ১৫ সদস্য নিহত


ইসরায়েলি বিমানহামলার পর ফিলিস্তিনিরা গাজা ভূখণ্ডের মধ্যাঞ্চলের আল-জাওয়াইদা মহল্লার একটি জায়গা পরিদর্শন করছেন। ১৭ আগস্ট, ২০২৪
ইসরায়েলি বিমানহামলার পর ফিলিস্তিনিরা গাজা ভূখণ্ডের মধ্যাঞ্চলের আল-জাওয়াইদা মহল্লার একটি জায়গা পরিদর্শন করছেন। ১৭ আগস্ট, ২০২৪

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বলছে, শনিবার দিনের শুরুতে ইসরায়েলি বিমানহামলায় ৯ শিশু ও ৩ নারীসহ একটি ফিলিস্তিনি পরিবারের ১৫ সদস্য নিহত হয়েছেন।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল এএফপিকে জানান, মধ্য গাজার আল-জাওয়াইদা মহল্লায় আজলাহ পরিবারের বাড়িতে হামলা হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

বাসসাল বলেন, “আল জাওয়াইদায় অবস্থিত আজলাহ পরিবারের পারিবারিক বাসস্থান ও গোলাঘরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫।”

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মধ্যরাতের কিছু সময় পর এই হামলা ঘটে।

উদ্ধারকারীরা মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া বাড়িটির ধ্বংসাবশেষ থেকে মরদেহ টেনে বের করছিলেন। এ সময় আহমেদ আবু আল-ঘৌল এএফপিকে বলেন, “তিনটি রকেট বাড়িটিতে সরাসরি আঘাত হানে।”

“ভেতরে অসংখ্য শিশু ও নারী ছিল…তাদের অপরাধ কি ছিল যে তাদের এমন পরিণতি হলো?”

এই হামলার শেষে সূর্যোদয়ের পর ধারণ করা এএফপিটিভির ফুটেজে উদ্ধারকর্মীদের ধসে পড়া স্তুপকৃত কংক্রিটের ব্লকের নিচ থেকে মরদেহ খুঁজতে দেখা যায়।

১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে গাজার অসংখ্য অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের কাছ থেকে পাওয়া আনুষ্ঠানিক তথ্যের ভিত্তিতে করা এএফপির হিসাব মতে, এই হামলায় ১ হাজার ১৯৮ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক ব্যক্তি। এরপর ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়।

হামলার সময় হামাস ২৫১ জনকে জিম্মি করে, যাদের মধ্যে ১১১ জন এখনো গাজায় আটক আছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, জিম্মিদের ৩৯ জন ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন।

হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৪০ হাজার ৫ জন নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে নিহতদের মধ্যে কতজন বেসামরিক ও কতজন হামাস সদস্য, তা উল্লেখ করা হয় না।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

XS
SM
MD
LG