অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অস্ট্রেলিয়ার গুপ্তচর বাহিনী প্রধান বন্ধু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনলেন 


অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এএসআইও) মহাপরিচালক মাইক বারজেস (বাঁয়ে) ফাইল ফটোঃ ১২ জুলাই, ২০২৪।
অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এএসআইও) মহাপরিচালক মাইক বারজেস (বাঁয়ে) ফাইল ফটোঃ ১২ জুলাই, ২০২৪।

অস্ট্রেলিয়ার গুপ্তচর বাহিনীর প্রধান রবিবার কয়েকটি বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, দেশগুলোর পরিচয় প্রকাশ করলে মানুষ বিস্মিত হবে।

বিদেশি হস্তক্ষেপের উদাহরণ হিসেবে গত বছর ক্যানবেরা ইরানের নাম প্রকাশ করেছিল। সে সময় জানানো হয়, অস্ট্রেলীয় গোয়েন্দাবাহিনী এক ইরান-বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় নাগরিকের বাড়িতে নজরদারিতে নিয়োজিত “কতিপয় ব্যক্তিকে” তাদের কাজে বাধা দিতে সক্ষম হয়।

অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এএসআইও) মহাপরিচালক মাইক বারজেস জানান, অন্যান্য কয়েকটি দেশও গোপনে অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও প্রবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাপনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বারজেস বলেন, “আমি অন্তত তিন থেকে চারটি দেশের কথা বলতে পারি, যারা সক্রিয়ভাবে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদেশি হস্তক্ষেপের সঙ্গে জড়িত।”

“কয়েকটি দেশের নাম শুনলে আপনারা বিস্মিত হবেন। তাদের কেউ কেউ আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র”, জানান তিনি।

বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ

ইরানের সংশ্লিষ্টতার সরকারি অভিযোগ নিশ্চিত করা ছাড়া অন্য কোনো দেশকে চিহ্নিত করতে অস্বীকার করেন বারজেস।

বারজেস জানান, অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে আছে বিদেশি হস্তক্ষেপ, গুপ্তচরবৃত্তি ও রাজনৈতিক সহিংসতা।

এ মাসে এএসআইও অস্ট্রেলিয়ায় জঙ্গি হামলার হুমকির মাত্রাকে “সম্ভাব্য” পর্যায়ে উন্নীত করেছে। তারা বলছে, অভ্যন্তরীণ কট্টরবাদ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১২ মাসে সহিংসতার সম্ভাবনা বেড়েছে।

বারজেস রবিবার জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ার ফলে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট সহিংসতা ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে, বিশেষত, “শয়নকক্ষে ডিভাইস নিয়ে আটকে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্করা” ক্রমবর্ধমান হারে সহিংস জঙ্গিবাদের সংস্পর্শে চলে আসছে।

গুপ্তচরবাহিনীর প্রধান আরও জানান, এএসআইও অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী নির্বাচনকে ঘিরে থাকা এ ধরনের ঝুঁকির ওপর নজর রাখবে। এই নির্বাচন ২০২৫ সালে আয়োজিত হতে পারে। তিনি জানান, এই নির্বাচনকে ঘিরেই সামাজিক সমস্যাগুলো নিয়ে মানুষ বলিষ্ঠ বিতর্কে নিয়োজিত হবে।

XS
SM
MD
LG