ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, সেভাস্তোপোল বন্দরে পরিচালিত হামলায়, চারটি এস-৪০০ উৎক্ষেপক (লঞ্চার) মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো বিমান-বিধ্বংসী ‘ট্রাম্ফ’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ।
রাশিয়া, সেভাস্তোপোলে হামলা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আরো বলেছে, অন্যান্য নৈশ হামলায় তারা মরোজোভস্ক বিমানক্ষেত্রে গোলাবারুদের ডিপো ও বেশ কয়েকটি তেলের ডিপো ও জ্বালানি সংরক্ষণাগারে আঘাত করেছে। উল্লেখ্য, বিমানক্ষেত্রটিতে রাশিয়ার বাহিনী অন্যান্য সরঞ্জামের পাশাপাশি আকাশপথে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এমন বোমাও মজুত রেখেছিলো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বার্তা আদানপ্রদানকারী অ্যাপ টেলিগ্রামে লিখেছেন, “সব রকম কার্যকরী উপায়ে, রুশ যুদ্ধ বিমানগুলো যেখানে রয়েছে সেখানেই ধ্বংস করতে হবে। রুশ বিমানক্ষেত্রে হামলা চালানো অন্যায় নয়। অংশীদারদের সঙ্গে আমরা চাই এই যৌথ সমাধান; একটি নিরাপত্তাগত সমাধান।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বারবার তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহবান জানাচ্ছেন, তারা যেন সীমান্তবর্তী সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পাশাপাশি, রাশিয়ার ওপর হামলা চালাতে তাদের দূরপাল্লার অস্ত্রগুলো ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
জেলেন্সকি শনিবার বলেন, গত সপ্তাহে ইউক্রেনে হামলা চালাতে রাশিয়া ছয়শ’র বেশি দূর-নিয়ন্ত্রিত ‘এরিয়াল বম্ব’ ব্যবহার করেছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেলগরোদ, কুর্স্ক ও রস্তোভ অঞ্চলে একাধিক তেলের ঘাঁটি ও লুব্রিক্যান্ট গুদামে হামলার ফলে অন্তত দুটি তেলের ট্যাঙ্কে আগুন ধরে যায়।
রাশিয়ার স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ড্রোন হামলার কারণে রস্তোভ অঞ্চলের কামেন্সকি এলাকার একটি জ্বালানির গুদামে থাকা কয়েকটি ট্যাঙ্কে আগুন ধরে গিয়েছিলো।
বেলগরোদের আঞ্চলিক গভর্নর বলেছেন, ইউক্রেনের উৎক্ষেপণ করা করা একাধিক ড্রোনের আঘাতে, সেখানে একটি তেলের ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তিনি আরো বলেছেন, আগুন নেভানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় কোনো হতাহত নেই।