বুধবার ইরান এবং ইসরায়েল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সাম্প্রতিক হামলার জন্য একে অপরের তীব্র নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে। কাউন্সিল এমন একটি অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে, যেখানে একটি বৃহত্তর যুদ্ধ বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে বলেন, “ইসরায়েলকে এই আগ্রাসনের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনতে নিরাপত্তা পরিষদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়া উচিত।” তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া ভোরে নিহত হওয়ার পর তার সরকার এই অনুরোধ করে।
ইরাভানি বলেন, “এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং আরও লঙ্ঘন রোধে অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারা ইসরায়েলের অশুভ কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না এমন সংকেত দেয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।”
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া হামাস নেতা নিহত হওয়ার জন্য ইরান ও হামাস ইসরায়েলকে দায়ী করছে। ইসরায়েল এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও জোর ধারণা, তারা এই হামলা চালিয়েছে।
মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। ইসরায়েল বলেছে, শনিবার রকেট হামলায় ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে একটি ফুটবল মাঠে খেলতে গিয়ে ১২ জন আরব দ্রুজ শিশু নিহত হওয়ার জন্য শুকুর দায়ী। তবে হিজবুল্লাহ এর দায় অস্বীকার করেছে।
আমরা যুদ্ধ চাই নাঃ লেবানন
এই হামলার ফলে আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে যা গাজার যুদ্ধের কারণে টগবগ করে ফুটছে।
লেবাননের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, ইসরায়েল এই অঞ্চলকে বিপর্যয়কর পরিণতিসহ একটি বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দূত রবার্ট উড বলেন, হিজবুল্লাহ নেতার ওপর ইসরায়েলের হামলার সাথে ওয়াশিংটন জড়িত নয় এবং হামাস কর্মকর্তার লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়ে তারা অবগত বা জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, “তার মৃত্যুর বিষয়ে হামাসের দাবি নিয়ে আমাদের কাছে নিরপেক্ষ কোনো নিশ্চয়তা নেই।”
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।