অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি বিভ্রাটের পর দ্রুত ছন্দে ফিরতে চাইছে বিমান সংস্থাগুলি


বৈশ্বিক ইন্টারনেট বিভ্রাটের একদিন পর নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রথম টার্মিনালে নিরাপত্তা পরীক্ষাকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অসংখ্য যাত্রী। ফটোঃ ২০ জুলাই, ২০২৪।
বৈশ্বিক ইন্টারনেট বিভ্রাটের একদিন পর নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রথম টার্মিনালে নিরাপত্তা পরীক্ষাকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অসংখ্য যাত্রী। ফটোঃ ২০ জুলাই, ২০২৪।

বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রযুক্তিগত বিভ্রাটে দীর্ঘ সময় কার্যক্রম বিঘ্নিত ও ব্যাহত হওয়ার পর বিভিন্ন পরিবহন সংস্থা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সরকার শনিবার তাদের ব্যবস্থাপনা অনলাইনে ফেরাতে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে।

বিমান পরিবহনের উপর ‘এর প্রভাব সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহত রয়েছে। বিমান সংস্থাগুলি শুক্রবার হাজার হাজার উড়ান বাতিল করেছে। এখন এই সংস্থাগুলির বহু বিমান ও কর্মীরা সঠিক অবস্থানে নেই। এদিকে, বিমানবন্দরগুলি চেকিং ও নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যার মোকাবেলা করেই চলেছে।

মারাত্মক প্রযুক্তি বিভ্রাটের মূলে রয়েছে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ক্রাউডস্ট্রাইক। এই সংস্থা সারা বিশ্বে অসংখ্য কোম্পানিকে সফটওয়্যার সরবরাহ করে থাকে। কোম্পানিটি বলছে, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহার করা হয় এমন কম্পিউটারগুলিতে ত্রুটিপূর্ণ আপডেট চালু করার পরই এই সমস্যা দেখা দেয়। তারা উল্লেখ করেছে, এই বিভ্রাটের পিছনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতা বা সাইবার হামলা ছিল না।

অস্ট্রিয়াতে চিকিৎসকদের এক অগ্রণী সংগঠন বলেছে, ডিজিটাল ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ভঙ্গুরতাকেই প্রকাশ করে দিল এই বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি গোলযোগ।

রোগীদের তথ্যের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করার জন্য উচ্চমান প্রয়োগ এবং সংকট সামলাতে সমস্ত ব্যবস্থাপনাকে ঠিক করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে এই সংগঠন।

জার্মান সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা সংস্থা বলছে, অসংখ্য কোম্পানি প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের পরিণতিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলাতে এখনও হিমশিম খাচ্ছে।

তারা সতর্ক করেছে, সাইবার অপরাধীরা ফিশিং, ভুয়ো ওয়েবসাইট ও অন্যান্য জালিয়াতির মাধ্যমে এই পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে এবং ছড়িয়ে পড়েছে “অননুমোদিত” সফটওয়্যার কোড।

ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিথরো বলেছে, তারা ব্যস্ত, তবে শনিবার স্বাভাবিকভাবেই পরিচালনা করেছে। এই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, “সমস্ত ব্যবস্থাপনার ব্যাক-আপ নেওয়া রয়েছে এবং কাজ করছে। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে যাত্রা করছেন।”

শুক্রবার যুক্তরাজ্যের একাধিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১৬৭টি বিমান ওড়ার কথা ছিল, কিন্তু তা বাতিল করা হয়েছে। ১৭১টি বিমান নামার কথা ছিল, তাও বন্ধ করা হয়।

জার্মানির উত্তরাঞ্চলে শ্লেসউইগ-হলস্টাইন বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল বিশ্বজোড়া তথ্যপ্রযুক্তিগত বিভ্রাটের কারণে সকল প্রকার গৌণ (একান্ত জরুরি নয়) অস্ত্রোপচার বাতিল করেছিল। শনিবার তারা বলেছে, তারা ধীরে ধীরে তাদের ব্যবস্থাপনা পুনরুদ্ধার করছে।

বৈশ্বিক নিরাপত্তাগত গোলযোগের পর ব্রিটেনের পরিবহন শিল্প নির্ধারিত সময়সূচিতে ফিরতে হিমশিম খাচ্ছে। যাত্রীদের যাত্রা বাতিল করা হচ্ছে। গ্রীষ্মের ছুটির প্রথম দিনে বহু স্কুল-শিক্ষার্থীর যাত্রায় দেরি হচ্ছে।

XS
SM
MD
LG