অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তাইওয়ানের বাসিন্দারা চীনকে ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে দেখেন: সমীক্ষা


তাইওয়ানের কিমেনে সমুদ্র সৈকতে একটি অচল সাঁজোয়া গাড়ি দেখা যাচ্ছে। ওপাশে চীন। ফাইল ফটোঃ কিনমেন, তাইওয়ান, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩।
তাইওয়ানের কিমেনে সমুদ্র সৈকতে একটি অচল সাঁজোয়া গাড়ি দেখা যাচ্ছে। ওপাশে চীন। ফাইল ফটোঃ কিনমেন, তাইওয়ান, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩।

নতুন প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, তাইওয়ানের বাসিন্দাদের প্রায় ৬০ শতাংশ বলছেন, গত কয়েক বছরে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তাইওয়ানভিত্তিক অ্যাকাডেমিয়া সিনিকা পরিচালিত এই সমীক্ষা যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে এই দ্বীপের বাসিন্দাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণা পরিমাপ করেছে। পাশাপাশি শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকিকে তারা কীভাবে দেখছে তাও বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।

অ্যাকাডেমিয়া সিনিকার ইন্সটিটিউট অফ ইউরোপিয়ান অ্যান্ড আমেরিকান স্টাডিজের সহকারী গবেষক জেমস লি বৃহস্পতিবার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের এক প্যানেল আলোচনায় এই সমীক্ষার বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করেন।

লি বলেন, “বৃহৎ যে বিষয়কে এই সমীক্ষা ধরতে চেয়েছে তা হল, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সময়ের সাথে সাথে তা কীভাবে বদলেছে এবং চীনের হুমকি ও তাইওয়ানের উত্তরদাতারা কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বার্তা-সংকেতগুলি ব্যাখ্যা করছে।”

বার্ষিক এই সমীক্ষায় ১২৩৬ জন তাইওয়ানবাসীকে মোট ৩৭টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। এই বছরের সমীক্ষার মূল উপজীব্য বা অনুসন্ধান হল, তাইওয়ানের বাসিন্দারা যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীনকে কতটা বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন এবং কতখানি তার তারতম্য।

প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াশিংটনের প্রতি আস্থার হার ২০২৩ সালে ছিল ৩৪ শতাংশ এবং চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১.২ শতাং শ।

সুচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক সিন-সিন প্যান বলেন, সমীক্ষায় উঠে এসেছে, চীনের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতি আস্থা অনেক কম।

তিনি এক প্যানেল আলোচনায় বলেন, “তাইওয়ানের একটা বড় শতাংশ মানুষ মনে করেন যে, চীন বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই ধরনের প্রবণতা গত চার বছর ধরে অপরিবর্তিত ভাবে চলে আসছে। তাইওয়ানবাসীদের মাত্র ১০ শতাংশ মনে করেন যে, চীন বিশ্বাসযোগ্য।”

“বিশ্বাসযোগ্য” শব্দটির সংজ্ঞা বিষয়ে প্যান বলেছেন, “মূল ভাষায় নিজের কথায় অবিচল থাকা। অন্যভাবে বলা যায়, কথায় ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা।”

সমীক্ষাটিতে তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি পৃথক নীতি সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করা হয়েছিল। এগুলির মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকার, অস্ত্র বিক্রয়, আকাশ ও জলপথে টহলদারি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ।

চারটি লক্ষণের মধ্যে আকাশ ও জলপথে যুক্তরাষ্ট্রের টহলদারি সবচেয়ে বেশি শতাংশ ভোট পেয়েছে। তাইওয়ানের বাসিন্দাদের ৭১.২ শতাংশ বলেছেন, এই টহলদারি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতাকে বৃদ্ধি বা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকার ৬০.৩ শতাংশ, অস্ত্র বিক্রি ৬২.৯ শতাংশ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকে সমর্থন করে ৬৩.২ শতাংশ ভোট দিয়েছেন উত্তরদাতারা।

এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, তাইওয়ানের বাসিন্দাদের ৮০.৬ শতাংশ মনে করেন, তাইওয়ান ও চীন একই দেশের অংশ নয়। অন্য দিকে, ১৩.৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, তাইওয়ান ও চীন একই দেশের অংশ।

XS
SM
MD
LG