ইসরায়েলি সংসদ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা প্রদান “অস্তিত্বের প্রতি হুমকি” বলে অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের তরফ থেকে এবং আন্তর্জাতিক ভাবে সমালোচনা করা হয়।
১২০ সদস্য বিশিষ্ট ইসরায়েলি সংসদ কেনেসেট বুধবার রাতে ৬৮-৯ ভোটে এই প্রস্তাব পাশ করে যে ইসরায়েল অধিকৃত ভূমিতে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র “ইসরায়েল -ফিলিস্তিনি সংঘাতকে স্থায়ী করে তুলবে এবং এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করবে”।
এই প্রস্তাবটি প্রতীকি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের কয়েকদিন আগে এটি ইঙ্গিতবহ। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলের বৈধতা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের মতামত প্রকাশের আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
ওই প্রস্তাবে পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখন্ডের প্রসঙ্গে বলা হয়, “কেনেসেট জর্দানের পশ্চিমের ( ভূমিতে) ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের তীব্র বিরোধীতা করে”। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর যে যুদ্ধ শুরু হয় তাতে এই দুটি অঞ্চল বিধ্বস্ত হয়েছে।
প্রস্তাবটিতে আরও বলা হয়, “ ইসরায়েলের মধ্যে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র সৃষ্টি করা , ইসরায়েল রাষ্ট্র ও তার নাগরিকদের অস্তিত্বের প্রতি বিপদ ডেকে আনবে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতকে স্থায়ী রূপ দিবে এবং এই অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলবে”।
এতে পূর্বাভাস দেওয়া হয় যে হামাস রাষ্ট্রটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে এবং ইসরায়েলকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রটিকে “ একটি উগ্রবাদী ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে” পরিণত করবে।
প্রস্তাবটিতে বলা হয় ৭ অক্টোবরের হামলার পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে “সমর্থন” করা “ সন্ত্রাসবাদের জন্য পুরস্কার স্বরূপ এবং তাতে হামাস আর তার সমর্থকরাই শুধু উৎসাহিত বোধ করবে”।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে “ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা ছাড়া কারও জন্য শান্তি কিংবা নিরাপত্তা আসবে না”। তারা ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোটকে “ এই অঞ্চলটিকে অতল গহ্বরে নিমজ্জিত” করার জন্য অভিযুক্ত করে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব সম্পর্কে “আতঙ্ক” প্রকাশ করে বলে এই প্রস্তাবটি “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবগুলির পরিপন্থি”।
কেনেসেটের এই সর্বসাম্প্রতিক প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থিদের সমন্বয়ে গঠিত নেতানিয়াহুর জোটের বিরোধী ডানপন্থি এক বিধায়ক। তবে জোটের অন্যান্যরা এবং মধ্যপন্থি বিধায়করা এই প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দেন।