অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হামাসের সেনাপ্রধানকে লক্ষ্য করে হামলার খবর জানিয়েছে ইসরায়েলি আর্মি রেডিও


গাজা ভূখন্ডের দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসের একটি তাঁবু শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিরা হতাহত হয়। (১৩ জুলাই, ২০২৪)
গাজা ভূখন্ডের দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসের একটি তাঁবু শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিরা হতাহত হয়। (১৩ জুলাই, ২০২৪)

শনিবার ইসরায়েলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে, গাজায় খান ইউনিসে হামাসের সামরিক প্রধানকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তাদের সামরিক বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

তবে ইসরায়েলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে, হামাসের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ দেইফের নিহত হবার ব্যাপারটি নিশ্চিত নয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রতিবেদনটি খতিয়ে দেখছে বলে জানানো হয়েছে । গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ২০টি মৃতদেহ ও ৯০ জন আহত ব্যক্তিকে আনা হয়েছে। তাদের কাউকে কাউকে অন্যান্য চিকিৎসা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে কতজন স্থানান্তর হয়েছে তার চূড়ান্ত সংখ্যা জানানো হয়নি।

হামাস পরিচালিত গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, বেসামরিক জরুরি সেবার সদস্যসহ অন্তত ১০০ জনের মতো নিহত ও আহত হয়েছেন। তবে দেইফের ব্যাপারে হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবু জুহরি ইসরায়েলের এই দাবী নিশ্চিত করেন নি। তিনি বলেন,

“তাদের দাবী অর্থহীন এবং এর লক্ষ্য এই ভয়াবহ গণহত্যাকে ন্যায্যতা দেওয়া। নিহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। এখানে যে গনহত্যা ঘটছে তা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও বাকি বিশ্বের নীরবতার কারণেই ।”

গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১,২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫০ জনেরও বেশি জিম্মি হয়। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। তাছাড়া গাজার বেশিরভাগ অঞ্চলই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

XS
SM
MD
LG