জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রয়োজনের প্রতি জাতিসংঘকে আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শুক্রবার (১২ জুলাই) জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মুহাম্মদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আহবান জানান তিনি।
“সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ ও হিমবাহ গলার মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য অস্তিত্বের সংকট হিসেবে দেখা দিচ্ছে;” বলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল বিশ্বব্যাপী জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এসব সিস্টেম দেশের দুর্যোগের প্রস্তুতি ও স্থিতিস্থাপকতা ব্যাপকভাবে উন্নত করেছে; যা অন্যান্য জাতির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।
বৈঠকে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব, চলমান সংঘাত ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব ও বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী। বিষয়গুলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং তা কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তারা।
এই বাধা অতিক্রম করতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং সবুজ রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য কনফারেন্স অফ পার্টিতে কিভাবে বৈশ্বিক দক্ষিণের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করা যায়; তা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। একইসঙ্গে, আরো তহবিল সুরক্ষিত করার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
এর আগে, পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রশাসক আচিম স্টেইনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের নির্দিষ্ট চাহিদার ভিত্তিতে তার জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণে ইউএনডিপির অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন প্রশাসক।
এর পাশাপাশি পরিবেশমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘের অফিসের (ইউএনওএসডি) প্রধান চুন কিও পার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং প্রাসঙ্গিক জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি সহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।