চীন শুক্রবার বলেছে, তারা তাদের দক্ষিণ উপকূলে রাশিয়ার সাথে যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নেটো জোটের বৈঠকের পর এবং জাপান মস্কোর সাথে বেইজিং-এর দৃঢ় সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিষয়ে সতর্ক করার পর চীনের এই ঘোষণা আসে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দুই দেশের সামরিক বাহিনী জুলাইয়ের শুরুতে জয়েন্ট সি-২০২৪ নামের এই মহড়া শুরু করেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই মহড়া চলবে।
মন্ত্রণালয় জানায়, “সামুদ্রিক নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় যৌথভাবে দুই পক্ষের সংকল্প ও সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য” দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশের শহর ঝানপজিয়াং-এর আশেপাশের জল ও আকাশসীমায় এই মহড়া চালানো হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, এই মহড়া নতুন যুগের জন্য চীন-রাশিয়া সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করবে।
বেইজিং ও মস্কোর সামরিক সম্পৃক্ততার বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এই মহড়া চালানো হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার আগ্রাসনের মধ্যে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে নেটো নেতারা ওয়াশিংটনে একত্রিত হওয়ার একই সপ্তাহে এই ঘোষণা এলো।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও রাশিয়া আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে এবং তাদের বন্ধুত্বের “কোনো সীমা নেই” বলে তারা বড়াই করে। নেটোর সাথে উভয় দেশেরই বৈরি সম্পর্ক রয়েছে।
নেটো নেতারা বুধবার এক ঘোষণায় বলেন, চীন ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের ‘চূড়ান্ত সহায়তাকারী’ হয়ে উঠেছে। জবাবে বেইজিং নেটোকে ‘সংঘর্ষে উস্কানি দেয়ার’ বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে।
চীন বলছে, তারা ইউক্রেন সংঘাতের কোনো পক্ষে নেই, তবে রাশিয়াকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দেয়ার জন্য পশ্চিমা নেতারা চীনের সমালোচনা করেছে। এই অর্থনৈতিক সমর্থনের মধ্যে বেসামরিক ও সামরিক উভয় প্রকার কার্যক্রমের জন্য পণ্য বাণিজ্য রয়েছে।
নেটোর পূর্ব সীমান্তে রাশিয়ার আরেক মিত্র বেলারুশের সাথেও চলতি সপ্তাহে মহড়া চালাচ্ছে চীনা বাহিনী।
শুক্রবার জাপান বলে, তাদের ভূখণ্ডের কাছে চীন-রাশিয়ার যৌথ তৎপরতা ‘জাতীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে গভীর উদ্বেগ’ সৃষ্টি করেছে।