কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো তার মন্ত্রীসভার অধিকাংশ মন্ত্রীকেই বৃহস্পতিবার বরখাস্ত করেছেন। তবে, তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রীদের বহাল রেখেছেন। প্রস্তাবিত কর বৃদ্ধি, কথিত দুর্নীতিগ্রস্ত ও নিষ্ক্রিয় মন্ত্রীদের সরিয়ে মন্ত্রীসভার সংস্কার করতে রুটোকে আহ্বান জানিয়ে সে দেশে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে এই বাতিলীকরণ ঘটানো হল।
স্টেট হাউসে ভাষণ দিতে গিয়ে রুটো বলেন, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তাকে মন্ত্রীদের বরখাস্ত করতে বাধ্য করেছে।
তিনি বলেন, “কেনিয়ার জনগণ যা বলতে চান তা গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনে, চিন্তাভাবনা করে এবং আমার মন্ত্রীসভার সার্বিক কার্যকলাপ, তাদের অর্জন ও চ্যালেঞ্জগুলি বিবেচনার পর আমাকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আজ মন্ত্রীসভার সকল সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে কেনিয়া প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রীসভা থেকে আশু বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেবলমাত্র মন্ত্রীসভার প্রধান সচিব ও পররাষ্ট্র ও প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বহাল রাখা হচ্ছে।”
রক্তাক্ত বিক্ষোভ
রুটো বলেন, তিনি বিভিন্ন সেক্টরে আলোচনা করবেন এবং বিভিন্ন দলকে নিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠিত করবেন যা দেশ চালাতে তাকে সাহায্য করবে।
প্রেসিডেন্টের আর্জির ভিত্তিতে গত মাসে সংসদ একটি আর্থিক বিল পাশ করেছিল যাতে বেশ কয়েকটি কর বৃদ্ধির প্রসঙ্গ ছিল। তবে বিক্ষোভকারীরা সংসদে তাণ্ডব চালানোর পর রুটো সেই বিলে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। নাইরোবি ও অন্যত্র পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছে।
কেনিয়ায় বিক্ষোভ সংগঠকদের অন্যতম রাজনৈতিক কর্মী বনিফেস এমওয়াংগি ভিওএ-কে বলেন, রুটো যেভাবে দেশ পরিচালনা করেন তার বদল দরকার।
তিনি বলেন, “আমরা খুব খুশি কারণ এটা তার শেষের শুরুও বটে। আমরা ক্ষমতায় অযোগ্য সরকারকে রাখতে পারি না। আমরা এমন সরকারকে রাখতে পারি না যে তার তরুণদের হত্যা করে ক্ষমতাবলে। তিনি (রুটো) সংসদকে জিম্মি করে রেখেছেন কারণ তার অনুমোদন ব্যতীত এ দেশে কিছু ঘটে না। তাই তার বোঝা দরকার যে, তিনি নিজের ইচ্ছামতো একটি দেশ চালাতে পারেন না।”
কেনিয়ার সরকার বলছে, বাড়তি কর আদায় করতে না পারলে তা সরকারি কর্মসূচি ও বিদেশি ঋণ পরিশোধের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।