নেটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এই সংগঠনের জোট-শরিকরা সমর্থন জোরদার করার পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নেটো ও ইউক্রেনের নেতারা ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসতে চলেছেন।
নেটোর শীর্ষ সম্মেলনের অন্তিম দিনে নিরাপত্তাগত চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
নেটোর ৩২টি সদস্য দেশ কর্তৃক বুধবার প্রকাশিত ঘোষণায় বলা হয়েছে, নেটোর সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ইউক্রেনের পথ “অপরিবর্তনীয়।”
নেটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বুধবার সংবাদদাতাদের বলেন, “এটা যদির প্রশ্ন নয়, বরং এটা কবে-র প্রশ্ন।”
ইউক্রেন নেটোর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য প্রস্তুত কিনা তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একসময় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ছিল, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তারা কিয়েভের সদস্যপদ নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ইউরোপ বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক মাইকেল কারপেন্টার ভিওএ-কে বলেন, “আমরা ইউক্রেনকে সদস্যপদের জন্য প্রয়োজনীয় সেতু প্রদান করছি।”
স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ যখন বন্ধ হবে, তখন সেখানে সেটাই যে সহিংসতার চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি তা নেটোকে নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, প্রথম আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বর্তমানে ইউক্রেনে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং আগামী দিনগুলিতে ইউক্রেনের আকাশসীমায় সেগুলি টহল দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এফ-১৬-এর হস্তান্তর পর্ব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে এবং আসন্ন গ্রীষ্মে ইউক্রেন এফ-১৬ ব্যবহার করতে পারবে।”
ডাচ প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ, ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডারিকসন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার এক ঘোষণায় বলেছেন, ডাচ ও ডেনিশ সরকার এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়েছে এবং ইউক্রেনকে আরও বিমান পাঠাতে অঙ্গীকার করেছে বেলজিয়াম ও নরওয়ে।
অধিবেশনের শুরুতে বাইডেন বলেন, চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের সাহায্য নিয়ে রাশিয়া তাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে।
কিয়েভের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ-প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা বন্ধ করতে চীনকে বুধবার এক ঘোষণায় আহ্বান জানিয়েছে নেটোর অন্তর্ভুক্ত ৩২টি মিত্র-দেশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে চীনের মিশনের এক মুখপাত্র নেটোর এই বিবৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে একে “ঠাণ্ডা যুদ্ধের মানসিকতা ও যুদ্ধভাবাপন্ন ভাষ্যে ভরা” বলে অভিহিত করেছেন